মোঃ আমিনুর ইসলাম,গাবতলী, বগুড়া : গাবতলীতে বিএনপির দু’গ্র“পের সংঘর্ষের কারনে এক ব্যাক্তি নিহত হওয়ায় প্রশাসন সংঘাত এড়াতে এবং আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ২৭ অক্টোবর বিকেল ৫ টায় ১৪৪ ধারা জারিকরে ২৮ অক্টোবর এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বলবৎ ছিল।
১৪৪ ধারার কারনে গাবতলীতে হরতাল সমর্থনকারী বিএনপি-জামায়াত তথা ১৮ দলের কাউকে রাস্তায় দেখা নাগেলেও পুলিশের টহলের কারনে সাধারন মানুষ আতংকিত হয়ে তাদের যানবাহন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান পাট বন্ধ রেখেছে। ফলে পুর্বের দিনের পিকেটিংয়ের চেয়েও কঠিন হরতাল হয়েছে এ এলাকায়। প্রশাসনের ১৪৪ ধারার জারীর ২ ঘন্টা পরহতে গাবতলীর প্রান কেন্দ্র জন শুন্য হয়ে পরে। এ অবস্থা সোমবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ৫ জনের উর্ধে ব্যাক্তি এক সঙ্গে জটলা করে ঘোরার নিষেধাজ্ঞা থাকায় সারদিন গাবতলী ছিল জন শুন্য। ফলে কোন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান খোলেনি, টহল পুলিশের গাড়ী ছাড়া কোন যানবাহন চলতে দেখা যায়নি। রাস্তায় নেতাকর্মী না থাকায় মিছিল মিটিং হয়নি। অফিস, ব্যাংক, বন্ধছিল ফলে কোন প্রকার কাজকর্ম হয়নি।
অপদিকে নিহত শাহজাহান আলীর লাশ ময়না তদন্ত শেষে দেশের বাড়ীতে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে। জানাযা নামাজে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গাবতলী উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম হেলাল, বিএনপিনেতা সাজেদুর রহমান মোহন, পৌর বিএনপির সভাপতি ডাঃ ছাবে আলী, সাধারন সম্পাদক আবু জাফর মোস্তাফিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আতোয়ার রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব, আব্দুল হান্নন, রেজা পাইকার, রাজুসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭ টা এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শাহজান হত্যার ব্যপারে থানায় কোন মামলা হয়নি। তবে থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম আহবায়ক পৌর মেয়র মোরশেদ মিলটনকে প্রধান করে মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে একটি নির্ভর যোগ্য সুত্র জানিয়েছে।