শ্যামলবাংলা ডেস্ক : সাভারে চলন্ত বাসে ফের এক তরুণী গার্মেন্টস শ্রমিকের ধর্ষণের চেষ্টা করেছে নরপশুরূপী চালক ও হেলপার। ২৮ অক্টোবর সোমবার সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সাভারের শিমুলতলা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় পুলিশ বাসের চালক ও হেলপারকে আটক করেছে। এরা হচ্ছে বাসচালক শাহিন (২৫) ও তার হেলপার হানিফ (২৮)। চালক শাহিন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবেড় গ্রামের রহমত আলীর ছেলে এবং হেলপার হানিফ সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার সাহাপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।
এদিকে, একই এলাকায় একই কায়দায় পর পর দুটি ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনার শিকার তরুণী ও পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার ভোরে ওই তরুণী তার নিজ কর্মস্থল ডিইপিজেডের ইয়াং ওয়ানের দিকে যাওয়ার জন্য সাভার বাজার বাসষ্ট্যান্ড থেকে আনন্দ সুপার পরিবহনের বাসে ওঠেন। বাসে ওঠার সাথে সাথেই অন্য কোনো যাত্রী না নিয়ে বাসের হেলপার হানিফ বাসের দরজা বন্ধ করে দেয়। বাসটি সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় পৌঁছলে বাসে থাকা দুই ব্যক্তি ওই তরুণীকে জড়িয়ে ধরে। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। ওইসময় ধস্তাধস্তিতে তরুণীর হাত ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কেটে যায়। তার আর্তচিৎকারে হরতালে টহলরত পুলিশের একটি গাড়ি ওই বাসটিকে ধাওয়া করে। পরে সাভারের বিপিএটিসির সামনে তরুণীকে বাস থেকে ফেলে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় চালক ও হেলপার। খবর পেয়ে সাভারের সহকারী পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজার নেতৃত্বে পুলিশ তরুণীটিকে উদ্ধার করে ও বাসটিকে ধাওয়া করে সাভারের সিএন্ডবি এলাকা থেকে চালক ও তার হেলপারকে আটক করে। তবে ওই সময় বাসে থাকা খোকন নামে আরেক যুবক পালিয়ে যায়।
এব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চলন্ত বাসে পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় বাসসহ দুইজনকে আটকের পর পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। ওই ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের শিমুলতলা এলাকায় চলন্ত বাসে ধর্ষকদের হাত থেকে বাঁচতে লাফিয়ে পড়ে প্রাণ দিয়েছিল চাঁদনী নামে এক গৃহবধূ। এর আগে ২৪ জানুয়ারি রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গুলিস্তান-মানিকগঞ্জ রুটের শুভযাত্রা পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার হন এক গার্মেন্টস শ্রমিক।