এম লুৎফর রহমান নরসিংদী : ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের দ্বিতীয় দিনে নরসিংদীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় লক্ষ্য করে পর পর দুইটি শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। ২৮ অক্টোবর সোমবার সকালে ওই ঘটনা ঘটে। এসময় বোমা দুটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দেয়ালে লেগে পার্শ্ববর্তী স্থানে দন্ডায়মান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) মোঃ কামাল হোসেনের গাড়ীতে (ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-০৭৪৯) লেগে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে গাড়ীর বামপাশের জানালার কাঁচ ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। অবশ্য ঘটনার সময় গাড়ীতে কোন লোক ছিলনা।
ঘটনা সম্পর্কে জানার জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গেলে সেখানে উপস্থিত লোকজন জানায়, জেলা প্রশাসকের পূর্ব পাশের দেয়ালের বাইরে থেকে ৩ জন দুর্বৃত্ত হঠাৎ দুটি বোমা নিক্ষেপ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। অবশ্য তাদেরকে এখনো পর্যন্ত সনাক্ত করা যায়নি। এডিএম মোঃ কামাল হোসেন জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িত দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করা ও আইনের আওতায় আনার জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বোমার বিকট শব্দে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের লোকজনের মধ্যে আতংক দেখা দেয়। লোকজন ভয়ে এদিক ওদিক ছোটাছোটি করতে থাকে। অবশ্য বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে।
অপরদিকে সকাল ১০ টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভেলানগর জেলখানা মোড়ে জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকনের নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এসময় মিছিলকারীরা পর পর কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টি করলে পুলিশ তাদেরকে নিবর্ৃৃত্ত করার চেষ্টা করে। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যাপক হারে ককটেল বিস্ফোরন ঘটাতে থাকলে কর্তব্যরত পুলিশ কয়েকটি টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এদিকে মনোহরদী-বেলাব আসনের এমপি এড. নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের নেতৃত্বে হরতাল বিরোধী এক বিশাল মিছিল মনোহরদী উপজেলার সদরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে মনোহরদী বাসস্ট্যান্ডে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এড. ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হাবিবুর রহমান রঙ্গু, মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান পৌরসভার মেয়র আলফাজ উদ্দিন, ডা. আব্দুর রউফ সরদার, ছাত্র নেতা বজলুর রহমান প্রমুখ।