মো. আমির হোসেন আমু, দেবিদ্বার (কুমিল্লা) : ১৮দলীয় জোটের ডাকা ৬০ঘন্টা হরতালের দ্বিতীয় দিনে কুমিল্লার দেবিদ্বারে হরতালের পক্ষে ও বিপক্ষে মিছিল, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ২৮ অক্টোবর সোমবার সকালে ওই ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ ৬ জন হরতাল সমর্থককে আটক করেছে।
জানা যায়, সোমবার সকাল থেকেই হরতালকারীরা দেবিদ্বার নিউমার্কেট, কলেজ রোড, উপজেলা পরিষদ গেইট ও ছোট আলমপুর প্রায় ১০/১২টি ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়। এসময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকরা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু করে। এতে উভয় দলের প্রায় ৫ জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলা পরিষদ স্কুলে হরতাল সমর্থকরা ককটেল নিক্ষেপ করলে শিশু শিক্ষার্থীদের কয়েকজন প্রাণ ভয়ে আত্মরক্ষার্থে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে আহত হয়। হরতাল সমর্থকরা কলেজ রোডের ফুটপাতের কিছু দোকানে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় একটি পুলিশের ভ্যানও ভাংচুর করে হরতাল সমর্থকারিরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিতে পুলিশ ৩৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষন ও ২ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এছাড়াও হরতাল সমর্থকরা কর্মসূচি সফল করতে দেবিদ্বার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে জাফরগঞ্জ ভিরাল্লা, বারেরা বাসষ্ট্যান্ডে গাছ ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। সকালে জাফরগঞ্জ থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংঠন এর উদ্যোগে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিএনপি’র নেতা জাফরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ও সাধারন সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, জাফরগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মোঃ ইদ্রিস মিয়া, উপজেলা যুবদল প্রস্তুতি কমিটির সমন্বয়ক আবুল হোসেন লিপু প্রমুখ।