শ্যামলবাংলা ডেস্ক : জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় রোববার হানিফকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২৭ অক্টোবর রবিবার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী তার বিশেষ সহকারীর পদে হানিফের নিয়োগ আদেশটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে হানিফ বলেছেন, সামনে নির্বাচন, তাই আমিই প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম ওই পদ থেকে সরিয়ে দিতে।
পাঁচ বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর কুষ্টিয়ার এই নেতাকে বিশেষ সহকারী করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, ১৪ দলের ঐক্য ধরে রাখতেই হানিফকে সরিয়ে দেয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শেখ হাসিনা।
ভেড়ামারা ও মিরপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত কুষ্টিয়া-২ আসনে সংসদ সদস্য ১৪ দলের অন্যতম শরিক দল জাসদের সভাপতি বর্তমান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর এ আসনটিতে হানিফ আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান বলে স্থানীয় নেতাদের কথায় উঠে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আসার পর তিনি কুষ্টিয়ার বিভিন্ন কমিটি ভেঙে দেন, যা নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। নতুন কমিটিতে নিজের পছন্দের নেতাদের নেয়ার অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে।
গত ৯ অক্টোবর প্রার্থী বাছাই নিয়ে আরো কয়েকটি জেলার সঙ্গে কুষ্টিয়া জেলার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক হয়। সেখানে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগ কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটি গঠনে হানিফের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন সভানেত্রী।
তখন শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে আমাদের ঐক্যের দরকার। সেখানে মহাজোটের শরিক দলের সভাপতি মনোনয়ন পাবেন না, এটা হতে পারে না। ওই আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাসদ সভাপতি ইনু।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর পদ হারালেন হানিফ