এম. এ করিম মিষ্টার, নীলফামারী : নীলফামারীর জলঢাকায় জামায়াতের সাথে র্যাব-পুলিশের সংঘর্ষে এক শিবির কর্মী নিহত হয়েছে। সংঘর্ষে পুলিশ-সাংবাদিকসহ আহত হয়েছে অন্তত: ৩৫ জন। ওই সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ২৫ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে ওই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে জলঢাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে শহরে ঢোকার চেষ্টা করে জামায়াত- শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এসময় নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ তাদের সদরে ঢুকতে বাঁধা দিলে জামায়াত- শিবির কর্মীরা পেট্রোল পাম্প এলাকায় সমবেত হয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়। পরে র্যাব ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এসময় দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে ৯ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত: ৩৫ জন আহত হয়। আহতদের জলঢাকা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত দুইজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মোসলেম (২৫) নামে এক শিবির কর্মী মারা যায়। নিহত মোসলেম জলঢাকা পৌর এলাকার ডাঙ্গাপাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে। সংঘর্ষ চলাকালে একটি বাসে অগ্নিসংযোগ ও ৩ টি গাড়ি ভাংচুর করেছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা।
জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোবন-উল-হাসান জানান, র্যাব ও পুলিশ ৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও শতাধিক টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
