এস,এম,তারেক নেওয়াজ , হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) : কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে একটি বেসরকারী সংস্থার ১৫ লাখ টাকা নিয়ে ম্যানেজার পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে তার বিরোদ্ধে মামলা করেছে কতৃপ। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।গত মঙ্গলবার(২২ অক্টোবর) সকালে আতœসাতকৃত টাকা ফেরতের দাবীতে বিুদ্ব গ্রাহকরা সংস্থাটির জোনাল ম্যানেজাকে লাঞ্চিত করেছে।
মামলার বিবরণ ও অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আরডিএফ) নামের একটি এনজিও গ্রীন পাওয়ার প্রোগ্রামের আওতায় ২০১২ সালের ১ নভেম্বর থেকে হোসেনপুর উপজেলার ঢেকিয়া এলাকায় অফিস স্থাপন করে ২৮৭ জন গ্রাহকে সৌর-বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁেছ দিতে কিস্তিতে গ্রাহকদের নিকট সোলার প্যানেল আইটেম বিক্রি করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ অক্টোবর আরডিএফের হোসেনপুর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোঃ মাসুদ রানা (৩০) ও ফিল্ড অফিসার মাসিকুল ইসলাম (২৪) পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গ্রাহকের কিস্তি ও ডাউন পেমেন্টের নগদ ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও স্টোরে রতি সোলার প্যানেল,ব্যাটারী ও এক্সেসরিজ বক্স প্রভৃতি ৬৪ আইটেমর ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামালসহ মোট ১৫ লাখ টাকার আতœসাত করে চুরির ঘটনা সাজিয়ে কতৃপরে বিনা অনুমতিতে ১৮ অক্টোবর হোসেনপুর থানায় মামলা করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরপরই আরডিএফের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরির্দশন করে সংস্থার সহকারী পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলামকে আহবায়ক করে এবং ডিএম গোলাম মাসুদ ও অডিট প্রধান আব্দুল আউয়ালকে সদস্য করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির গঠন করে।ওই কমিটি গত ১৯ অক্টোবর থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত সরজমিনে তদন্ত করে ম্যানেজার মাসুদ রানা গং কতৃক নগদ সহ ১৫ লাখ টাকার মালামাল আতœসাতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এরই প্রেেিত আরডিএফের এরিয়া ম্যানেজার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ম্যানেজার সহ ৩ জনকে আসামী করে কিশোরগঞ্জ জেলা জজ আদালতে মামলা (নং-২৩,তাং-২১/১০/১৩) দায়ের করেন।
সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ঢেকিয়া আরডিএফ অফিসে গিয়ে দেখাযায়, সংুব্ধ গ্রাহকরা ভীড় করছে। এসময় অফিসে থাকা এরিয়া ম্যানেজার মিজানুর রহমান ও জোনাল ম্যানেজার সাসুম বিল্লার নিকট গ্রাহকরা টাকা ফেরতের দাবীতে হৈ-চৈ শুরু করে।এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা ওই দুই কর্মকর্তাকে লাঞ্চিত করে ও অফিস ঘেরাও করে রাখে।
এ ব্যাপারে আরডিএফের ম্যানেজার মাসুদ রানা অজ্ঞাত স্থান থেকে মুটো ফোনে সংবাদিকদের জানান, তিনি কোন টাকা আতœসাতের সাথে জড়িত নয়।বিষয়টি তার বিরুদ্ধে কয়েকজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলেও দাবী করেন।
তবে সংস্থার সহকারী পরিচালক ও তদন্ত কমিটির প্রধান মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি সরেজমিন তদন্ত করে ওই টাকা আতœসাতের সহিত ম্যানেজার মাসুদ রানা সরাসরি জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া গেছে।তাই যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনসহ টাকা উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
