স্টাফ রিপোর্টার : জীবন্ত ক্রুশের পথ পরিভ্রমণ ও মহাখ্রীষ্টযাগের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী বারমারী এলাকার সাধু লিওর খ্রিষ্টধর্মপল্লীতে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী ১৬তম ‘ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব’।
২৫ অক্টোবর শুক্রবার দুপুর ১২ টায় সমাপনী খ্রীস্টযাগে পৌরহিত্য করেন ময়মনসিংহ ধর্ম প্রদেশের ধর্মপাল বিশপ পনেন পৌল কুবি সিএসসি। সমাপনী খ্রীষ্টযাগের প্রার্থনায় শরিক হন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন এমপি। ‘সমুদয় সাধু-সাধ্বীর রাণী মারীয়া’ এ মূল সুরের ওপর ভিত্তি করে বৃহস্পতিবার বিকেলে পাপ স্বীকারের মধ্য দিয়ে ক্যাথলিক খ্রীষ্টানদের দু’দিনব্যাপী ওই তীর্থোৎসব শুরু হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ধর্মপল্লীর তীর্থযাত্রায় দু’কিলোমিটার উঁচু-নিচু পাহাড়ী টিলা পথে মোমবাতির শিখা হাতে আলোক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া রাতভর চলে নিশি জাগরন ও সাক্রামেন্তের আরাধনা। তীর্থোৎসবকে ঘিরে বারোমারী ধর্মপল্লীর বাইরে বসে শতাধিক স্টলে রকমারী পসরা নিয়ে বাহারী জিনিসের দু’দিনব্যাপী মেলা।
উল্লেখ্য, খ্রীষ্টভক্তদের ‘মা মারিয়ার’ প্রতি অশেষ ভক্তি ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য ১৯৯৮ সালে বারোমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে পর্তুগালের ফাতেমা নগরের অনুকরন ও আদলে ‘ফাতেমা রাণীর তীর্থস্থান’ প্রতিষ্ঠা হয়। তখন থেকেই পালিত হয়ে আসছে প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন মূল সুরের ওপর ভিত্তি করে অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার দু’দিনব্যাপী তীর্থ উৎসব।
