ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী : রাজশাহীতে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ সমাবেশে করেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দল। ২৫ শুক্রবার বেলা ১১টায় ১৪ দল সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এবং একই সময় ১৮ দলের রাজশাহী কলেজে বিক্ষোভ সমাবেশ করা নিয়ে নগরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই নগরীতে অবস্থান নেয় পুলিশসহ বিজিবি।
মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা জানান, সকাল ১০ টায় ১৪ দলের নেতাকর্মীরা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে ১১ টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। ২৫ ও ২৬ অক্টোবর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ করার আবেদন করে মহানগর পুলিশের অনুমতি নেয়া হয়েছে।
অপরদিকে, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন জানান, সকাল ১০ টায় ১৮ দলের নেতাকর্মীরা রাজশাহী কলেজ চত্বরে সমাবেত হয়। সকাল ১১টায় সমাবেশ করে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তিনি বলেন, আবেদন করে পুলিশের অনুমতি পাওয়া যাবে না বলেই বিক্ষোভ সমাবেশের আবেদন করা হয়নি।
অন্যদিকে মহানগর পুলিশ কমিশনার ব্যারিষ্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ করার অনুমতি নিয়ে ১৪ দলের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু ১৮ দলের পক্ষ থেকে কোন আবেদন করা হয়নি। পূর্ব অনুমতি ছাড়া নগরীতে কাউকে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়ে পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির ব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। ১৮ দল বিক্ষোভ সমাবেশ করবে তা নিশ্চিত হওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি বলেন, যে কোন নাশকাতা এড়াতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশকে শর্তক অবস্থায় রাখা হয়েছে। নগরীর প্রবেশ পথ গুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশী করা হচ্ছে। নগরীতে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিও। মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেন, শুক্রবার মহানগরীতে ১৪ দল ও ১৮ দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী নিয়ে কিছুটা উত্তেজনা। এ কারণে পুলিশ ও র্যবের পাশাপাশি বিজিবি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে বিজিবি টহল শুরু করেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাজশাহী-৩৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নজরুল ইসলাম বলেন, রাজশাহীর পরিস্থিতি এখনো শান্ত রয়েছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। তবে বাড়তি সতর্কতার জন্য ৩ প্লাটুন বিজিবি সদস্য নামানো হয়েছে। আরও ২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য স্ট্যান্ডবাই রয়েছে। নগরীসহ জেলার কোথাও কোথাও বড় ধরনের কিছু ঘটলে তৎক্ষনিক সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবেই বিজিবি।
