শ্যামলবাংলা ডেস্ক : বিএনপি চেয়াপারসন ও ১৮ দলীয় জোট নেতা খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, হরতাল দিয়ে দেশ ও জনগণের আর ক্ষতি করবেন না। হরতাল প্রত্যাহার করে আলোচনায় আসুন। তিনি ২৫ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে রাজধানী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৮ দলের সমাবেশে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের পর সন্ধ্যায় ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই আহ্বান জানান। এসময় তিনি বলেন, আমরা সহিংস রাজনীতি করতে চাই না। নির্বাচনের পথে আসুন। হরতাল পরিহার করুন। হরতাল করে মানুষকে কষ্ট দেবেন না। সংঘাতের হরতাল প্রত্যাহার করে শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে আলোচনায় বসুন।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাসিম বলেন, খালেদা জিয়া ২৫ অক্টোবরের পর থেকে মহাজোট সরকারকে অবৈধ বলে ঘোষণা করলেও শুক্রবার তিনিই এই সরকারের মেয়াদ দুই দিন বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি দুই দিন সময় বাড়িয়েছেন। আমি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, আপনি কি সংবিধান পড়েছেন? আমাদের এই সরকার ও সংসদ ২০১৪ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে, যদি না প্রধানমন্ত্রী কোনো সিদ্ধান্ত নেন।
খালেদা জিয়া আলোচনার পথে না এসে সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছেন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করেছিলাম বিরোধী দল আলোচনার পখ বেছে নেবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কথা বলবেন। আমাদের সাধারণ সম্পাদক ফোনে কথাও বলেছেন। কিন্তু তারপরেও তিনি সংলাপ নয়, সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছেন। আমরা সর্বদলীয় নির্বাচন করতে চাই। এক দলীয় নির্বাচন তিনিই (খালেদা জিয়া) করেছিলেন। সংবিধানের পথে এসে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানান ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা।
তিনি খালেদা জিয়াকে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনি সরকারি কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু তারা সরকারের কাজ করবে। আপনি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন, সক্রিয় রাজনীতি করুন। সভামঞ্চে নাসিম খালেদা জিয়ার পাশে উপস্থিত নেতাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, আপনার মঞ্চে কারা ছিল? একাত্তরের ঘাতকরা ছিল। আপনি একাত্তরের ঘাতকদের মুক্তি চেয়েছেন। মোহাম্মদ নাসিম সংলাপে বসার জন্য খালেদা জিয়ার দু’দিনের সময় দেওয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের বলেন, উনি সময় দেয়ার কে?
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি ও জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, খালেদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।
