মোহাম্মদ আরমান মিয়া, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) : রাজধানীর সাথে যোগাযোগের বিকল্প পথ হিসেবে টঙ্গী-ঘোড়াশালের একমাত্র সড়কটি ব্যবহৃত হয়। দেশের ৩২টি জেলার যাত্রীরা সময় ও দূরত্ব কমানোর জন্য গাজীপুরের কালীগঞ্জের টঙ্গী-ঘোড়াশাল সড়ক হয়ে ঢাকায় যাতায়াত করে। কিন্তু ওই বিকল্প সড়কটি টঙ্গী, কালীগঞ্জ ও ঘোড়াশালের শহীদ ময়েজ উদ্দিন সেতুর আগে পর্যন্ত রাস্তাটির কার্পেটিং, সাববেইজ উঠে গিয়ে অসংখ্য খানা-খন্দকের সৃষ্টি হওয়ায় ব্যবহারের অনুপযুগী হয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও নজরধারীর অভাবে জনদুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলছে। যেন দেখার কেউ নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়ক ও জনপদের অধীনে টঙ্গী স্টেশন সড়ক থেকে শহীদ ময়েজ উদ্দিন সেতুর আগে ঘোড়াশাল পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় খানা-খন্দকের ফলে মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে টঙ্গী-কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল সড়কটি। তাছাড়া এই রাস্তায় রয়েছে ৪টি রেল লেভেল ক্রসিং। এই ৪টি রেল লেভেল ক্রসিং-এর সামনে ও পিছে ছোট-বড় গর্তের কারণে প্রতিদিনই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে ওই সড়কের হাজার হাজার যাত্রীরা।
জানা যায়, কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল সংযোগস্থলে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর শহীদ ময়েজ উদ্দিন সেতু নির্মানের পর থেকে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম ও বৃহত্তর সিলেটসহ দেশের ৩২টি জেলার যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাক সময় ও দূরত্ব কমানোর জন্য ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করে আসছে। যাত্রাবাড়ী হয়ে রাজধানীতে প্রবেশ না করে ওই সড়কটি ব্যবহারের কারণে দিনকে দিন যানবাহনের চাপও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আঁকাবাঁকা, উঁচু-নিচু ও খানাখন্দে ভরা রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাক হেলেদুলে চলাচল করছে। ফলে সড়কটি খুব বেশী প্রশস্থ না হওয়ার কারণে প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রতিদিন নরসিংদী, পলাশ, ঘোড়াশাল, কালীগঞ্জ ও পূবাইলের চাকুরীজীবি মানুষ এ রাস্তায় প্রতিদিন গাজীপুর, টঙ্গী, উত্তরা ও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অফিস করার জন্য আসা যাওয়ায় বিঘœ ঘটছে। ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট ও দুর্ঘটনার কারণে অনেক কর্মঘন্টাও নষ্ট হচ্ছে। এমনকি জরুরী রোগীরা চিকিৎসা সেবা নেয়ার জন্য ঢাকা যাওয়ার পথেই রাস্তার খানাখন্দ ও যানবাহন বিকলের কারণে অনেক সময় নষ্ট হচ্ছে। ৪০/৪৫ মিনিটের রাস্তা সময় ব্যয় হয় ৪/৫ ঘন্টা। ফলে জনসাধারণ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার ও মেরামতের জন্য ভূক্তভোগিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
