শ্যামলবাংলা ডেস্ক : ডুমুরের ফুল ও গাছে টাকার অস্তিত্ব বাস্তবে পাওয়া না গেলেও এবার ইউক্যালিপটাস গাছের পাতায় স্বর্ণের উপাদানের সন্ধান পাওয়া গেছে। অস্ট্রেলিয়ার একদল বিশেষজ্ঞ গবেষণা চালিয়ে ওই গাছের পাতায় স্বর্ণের উপাদানের অস্তিত্ব খুজে পেয়েছেন। এক সময়ের অপরিচিত ওই ইউক্যালিপটাস গাছ এখন বাংলাদেশের সর্বত্র বি¯তৃতভাবে ছড়িয়ে থাকায় ওই গাছ নিয়ে মানুষের মাঝে যেমন উৎসুকের সৃষ্টি হয়েছে, ঠিক তেমনি খনিজ সমৃদ্ধ অঞ্চলের বাইরে তথা এ অঞ্চলের গাছগুলোতে একইভাবে স্বর্ণের উপাদানের সন্ধান পাওয়া যাবে কি-না তা নিয়েও শুরু হয়েছে নতুন গুঞ্জন।
উনবিংশ শতাব্দীতে স্বর্ণ উত্তোলনের জন্য বিশেষ পরিচিত অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় খনিজসম্পদ সমৃদ্ধ কালগুর্লি অঞ্চলে গবেষণা চালিয়ে ওই চমকপ্রদ তথ্যটি আবিষ্কার করেছে কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (সিএসআইআরও)। তারা ইউক্যালিপটাস গাছের পাতায় সোনার উপাদানের উপস্থিতি লক্ষ্য করেছেন। এ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় মাটির অনেক নিচে সোনা আছে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, দুর্গম এলাকা যেখানে অনুসন্ধানমূলক কাজ করা কঠিন বা সেখানে যদি মাটির নিচে স্বর্ণ থেকেও থাকে, তবে ওই আবিষ্কার থেকে অবস্থান চিহ্নিত করার একটি উপায় বের করা যেতে পারে। ন্যাচার কমিউনিকেশন সাময়িকীতে বুধবার তাদের গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে। সিএসআইআরওর জিওকেমিস্ট ড. মেল লিন্টার্ন বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্বের অন্যত্র আমরা সোনার উপাদান জমাকৃত অবস্থায় পেয়েছি। এখন এ থেকে মাটির অনেক নিচে স্বের্ণ থাকার স্পষ্ট ইঙ্গিত গাছগুলো আমাদের দিচ্ছে।’ ইউক্যালিপটাস গাছের ধারে কাছে সোনার উপাদান গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন। তারা নিশ্চিত করেছেন যে, গাছগুলো মাটির নিচ থেকে উপাদানগুলো টেনে এনেছে।
উল্লেখ্য, সিংক্রোটন যন্ত্র (অস্ট্রেলিয়ায় তৈরি বিশাল এক যন্ত্র যাতে লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হয়) গাছের পাতা, কচি ডালপালা এবং কোন কোনটার বাকলের মধ্যে স্বর্ণের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে যেখানে ইউক্যালিপটাস গাছের শেকড় ৩০ মিটার বা প্রায় ১০০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে, গাছে পাওয়া স্বর্ণের পরিমাণ নেহায়েত অল্প। লিন্টার্ন জানিয়েছেন, তারা হিসাব করে দেখেছেন, একটি স্বর্ণের আংটি তৈরিতে প্রয়োজন হবে ৫শ’ গাছ। তিনি আরও বলেন ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি গাছগুলো হাইড্রোলিক পাম্পের মতো কাজ করে। জীবন রক্ষাকারী পানি গাছগুলো শেকড়ের মাধ্যমে টেনে উপরে উঠিয়ে থাকে। ক্ষুদ্র সরু সরু নালীগুলো দিয়ে পানি পাতা পর্যন্ত পৌঁছে যায়। আর ওই পানির মধ্য দিয়েই স্বর্ণের উপাদান পাতায় এসে পৌঁছে থাকে।’ সূত্র: ইন্টারনেট