মো: খালেদ পারভেজ বখশ, মৌলভীবাজার :
শুধুমাত্র অর্থের অভাবে উচ্চ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হওয়ার পথে পরপর দু” বার গোল্ডেন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের দরিদ্র মেধাবী ছাত্র মিটন দেবনাথ। নিঃস্ব পরিবারের সন্তান মিটনের বাড়ী কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামে। বাবা প্রতাপ দেবনাথ কিডনী রোগী। তার দুটি কিডনীই বিকল। চিকিৎসার অভাবে ধুকে ধুকে মরছেন তিনি। কোন রকম খেয়ে না খেয়ে দিন যায় মিটনদের দিন। এর মাঝেও মিটন ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। কিন্তু বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে দারিদ্রতা। ঝুপড়ি ঘরে কুপির আলোর মাঝে তাদের বসবাস। নিগৃহীত জীবন যাপনের এক বাস্তব চরিত্র মিটনরা। কিন্তু অদম্য মেধাবী মিটন এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ অর্জন করে।
তার ভবিষ্যত স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ার হবে। তাই বাবার শেষ সম্বল এক শতক জায়গা বিক্রি করে কোচিং করছে। বর্তমানে প্রায় ঘনিয়ে এসেছে ভর্তির সময়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখন চলছে ফরম গ্রহণ ও জমাদান। কিন্তু মিটনের পে এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফরম সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। অভাবের জীবন যেখানে বিপর্যস্ত সেখানে স্বপ্ন তাকে তাড়িত করছে। লেখাপড়া শিখে বড় হতে হবে। আর সেই স্বপ্ন এখন স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে। মিটন জানে না এখন কী করবে ! উচ্চশিার জন্য কোথায় পড়াশোনা করবে! দারিদ্র্যের কারনে তার সোনালী ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকারে আচ্ছন্ন। তার এই বুকভরা স্বপ্নের ওপর বাস্তÍবের পাহাড় সমান বাঁধা। দারিদ্র্যের কারনে উচ্চশিা বাধাগ্রস্থ। তার বিনীত আকুতি সমাজের কোন হৃদয়বান ব্যক্তির সহযোগিতা পেলে স্বপ্ন পূরণে সহায়ক হবে। অসুস্থ্য বাবাও দেখে যাবে তার ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হয়েছে।
