স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় এক যুবতী গণধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে। ওই ঘটনায় গ্রেফতারকৃত মঞ্জু মিয়া (২৩) নামে এক যুবককে ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্ত কর্মকর্তার ৭ দিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার উভয় পক্ষের শুনানী শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বুলবুল আহম্মেদ তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এখন থানা হেফাজতে তাকে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। তবে ঘটনার দু’দিন পরও মূল নায়ক সুমনসহ অন্য কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্ষিতা যুবতীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হলেও এখনও সে পাশবিক নির্যাতনের ক্ষত নিয়ে নির্বাক-নিস্তেজ রয়েছে।
জানা যায়, ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বানুয়াকান্দা এলাকার ধর্ষিতা ওই যুবতীর (২৭) সাথে মোবাইল ফোনে কথোপকথনের এক পর্যায়ে শ্রীবরদী উপজেলার ডাকড়াপাড়া গ্রামের অবেল মিয়ার বখাটে পুত্র সুমনের (২৮) সম্পর্ক গড়ে উঠে। ওই সম্পর্কের সূত্রে সুমনের কথায় ওই যুবতী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফুলপুর থেকে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে চলে আসে। বাসস্ট্যান্ডে ওই যুবতীর জন্য অপেক্ষায় থাকে সুমন ও তার এক বন্ধু। অপেক্ষার পালা শেষ হলে সিএনজিযোগে ওই যুবতীকে রাত ৮ টার দিকে নিয়ে যাওয়া হয় ঝগড়ারচর বাজারে। ওইখানে ঘন্টাখানেক অবস্থানের পর রাত ৯ টার দিকে সুমন ওই যুবতীকে তার বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গ্রামের সরুপথে হাটতে থাকে। এক পর্যায়ে গ্রামের ধানক্ষেতে নিয়ে একই এলাকার আব্দুল আজিজের পুত্র শামীম (২০), মজিবরের পুত্র মঞ্জু মিয়া (২৩), মন্ডলের পুত্র আকতার (২০) সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন মিলে রাতভর ওই যুবতীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ওই অবস্থায় ধর্ষিতা যুবতী জ্ঞান হারালে লম্পট যুবকরা তাকে মৃত ভেবে ধান ক্ষেতে ফেলে চলে যায়। পরদিন সকালে এলাকাবাসী তাকে নিস্তেজ অবস্থায় উদ্ধার করে শ্রীবরদী থানায় পাঠায়। পরে পুলিশ তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় জেলা সদর হাসপাতালে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে ওই ঘটনায় ধর্ষিতা যুবতীকে বাদী করে থানা পুলিশের রুজুকৃত মামলায় মঞ্জু মিয়া নামে এক লম্পট গ্রেফতার হলেও মূল নায়ক সুমন ও তার অন্য সহযোগিরা গা ঢাকা দিয়েছে। শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী শেখ জানান, অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
