ads

বুধবার , ২৩ অক্টোবর ২০১৩ | ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

রাউজানে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে গিয়ে গণপিটুনীতে নিহত হয়েছে দুই সন্ত্রাসী

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
অক্টোবর ২৩, ২০১৩ ৯:২৫ অপরাহ্ণ

Gonopituniমীর আসলাম, রাউজান (চট্টগ্রাম) : রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে গিয়ে রাউজানে গণপিটুনীতে নিহত হয়েছে দুই সন্ত্রাসী। ২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে উপজেলার পাহাড়তলী চৌমুহনী এলাকার খানপাড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিগত জোট সরকারের আমলে বাগোয়ান ইউনিয়নে ও পার্শ্ববর্তী কর্ণফুলী নদী পথে যাতায়াতকারী পণ্যবাহী নৌকা সাম্পান ও এলাকা থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতো বাগোয়ান পাঁচখাইন গ্রামের সন্ত্রাসী সুমন ও মোজাম্মেল। দুই সন্ত্রাসী পাঁচখাইন গ্রামের মোহাম্মদ ইসহাক ও আবু মিয়ার পুত্র। জোট সরকারের সময় নিহতরা বিএনপি’র ক্যাডার পরিচয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। বিগত নির্বাচনের পর আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতাশীন হলে আলোচিত সন্ত্রাসীরা দলবলসহ এলাকা ছাড়া হয়। তখন থেকে হাত ছাড়া হয়ে যায় তাদের চাঁদাবাজীর সাম্রাজ্য। বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হতে চললে তারা বিভিন্ন কৌশলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে একাধিকবার এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করতে থাকে। প্রতিবারই জনপ্রতিরোধে তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। বুধবার সকাল ১১টার দিকে সন্ত্রাসী সুমন ও মেজাম্মেলের নেতৃত্বে সশস্ত্রবস্থায় একটি দল সিএনজি ট্যাক্সি নিয়ে পাঁচখাইন গ্রামে প্রবেশ করে। তারা স্থানীয় বড় পীরের আস্তানার কাছে পৌঁছলে সামনে পায় মোটরসাইকেল আরোহী স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি মেম্বার আবদুল খালেককে। ওই পরিস্থিতিতে দুই সন্ত্রাসীকে অস্ত্রহাতে দেখে আবদুল খালেক মোটরসাইকেল চালিয়ে দ্রুত পালাতে চেষ্টা করে। এসময় সন্ত্রাসীরা তাকে পিছন থেকে গুলি করতে করতে ধাওয়া করে। ওই ঘটনা দেখে চতুর দিক থেকে এলাকার শত শত মানুষ প্রতিরোধে এগিয়ে যায়। তারা সন্ত্রাসী প্রতিরোধ আহ্বান জানিয়ে মোবাইলে ফোন করে চতুর্দিকে জানিয়ে দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে সন্ত্রাসীরা গাড়ি নিয়ে পালাতে থাকে। সর্বশেষ এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া করে নিয়ে যায় প্রায় ৪ কিলোমিটার দুরে পাহাড়তলী এলাকায়। সেখানেও লোকজন সন্ত্রাসী ধরতে সক্রিয় হয়। তখন সিএনজি ট্যাক্সিচালক গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরাও দিক-বিদিক ছুটতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে সুমন ও মোজাম্মেল। এলাকার শত শত বিক্ষুদ্ধ জনতা এসময় দুজনকে গণপিটুনী দিলে সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়। পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এদিকে প্রথম ঘটনার পর স্থানীয়রা আবদুল খালেককে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াপাড়া পাইওনিয়ার হাসপাতাল এবং পরে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। থানার সাথে যোগাযোগ করলে থানার এসআই নুরনবী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ঘটনার ব্যাপারে দুটি মামলা রুজুর প্রস্তুতি চলছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!