শ্যামলবাংলা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সব দলের অংশগ্রহণেই তার দল নির্বাচন চায়। কিন্তু তাতে বিরোধী দলই ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে না। তিনি ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুরের গোরা শহীদ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে ওই কথা বলেন।
নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব গ্রহণ না করে পরদিন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার পাল্টা নির্দলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সব দলকে নিয়েই নির্বাচন করতে চাই। আর এ জন্য সকল দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছিলাম।’ তিনি ওই প্রস্তাবের সমালোচনা করে বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাব উনার (খালেদা জিয়ার) পছন্দ হল না। তিনি নির্বাচিত প্রতিনিধি চান না। আমরা দেশকে সামনে নিতে চাই, আর তিনি পেছনে নিতে চান।’
শেখ হাসিনা অনির্বাচিতদের ক্ষমতায় বসাতে আপত্তি জানিয়ে বলেন, সংবিধানের মধ্যে থেকেই আগামী সংসদ নির্বাচন হবে। তিনি গত পৌনে ৫ বছরে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশে আবার জঙ্গিবাদ ফিরে আসবে। এজন্য ভোট দেয়ার সময় তা মনে রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে আগামী নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকে ভোট চান। এসময় তিনি আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় করার ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী দিনাজপুরে জনসভাস্থলে বসেই বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন এবং কয়েকটির ভিত্তিস্থাপন করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, ও তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সতীশ চন্দ্র রায়, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ইকবালুর রহিম, মনোরঞ্জনশীল গোপাল প্রমুখ। এছাড়াও মুজিবুল হক, মোতাহার হোসেন, অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, মাহমুদ হাসান রিপন প্রমুখ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।