আজহারুল হক, গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) : ঈদুল আযহা ও শারদীয় দূর্গাপূজার আনন্দ উপভোগ করতে গফরগাঁও ও আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন বিনোদন প্রেমী হাজারো মানুষ ভিড় করছেন ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর নব নির্মিত সেতুর উপর। তাদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো সেতু এলাকা। গত ৫ দিনে অন্তত লক্ষাধিক নারী-পূরুষ, তরুন-তরুনী ও শিশু-কিশোরসহ সব বয়সেরই বিনোদন প্রেমী দর্শণার্থীদের পদচারনায় ও মিলনমেলায় মুখরিত ও প্রাঞ্জলিত হয়ে উঠেছে ব্রহ্মপুত্র সেতু এবং আশপাশের এলাকা। সেই সাথে বিনোদন প্রেমীরা পরিবার পরিজন নিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ অবলোকন করে ঘরে ফিরছেন।
সকালে সেতু এলাকায় কিছুটা ভীড় কম থাকলেও দুপুর গরিয়ে বিকেল হতেই হাজারো দর্শনার্থীর পদভারে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো সেতু এলাকা। সেতুর দুই পাশেই রয়েছে বিস্তীর্ণ সমতল চর। আর এসব চরের বালিগুলো সামান্য রোদেই মুক্তার দানার মতো দেখায়। সেতুটির সড়কের দুই পাশে অসংখ্য গাছ থাকায় বিকেলের পরিবেশটি হয়ে উঠে মনোমুগ্ধকুর। আর ওইসব দৃশ্য দেখার জন্য গফরগাঁও, ত্রিশাল, ভালুকা নান্দাইল, হোসেনপুর, ইশ্বরগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলার হাজারো মানুষ প্রতিদিন ছুটে আসেন এ সেতু এলাকায়। সেতু এলাকার চারপাশের মনোরম মনোমুগ্ধকর পরিবেশ উপলদ্ধি করেন বিনোদন প্রেমীরা। আর সেতুর উপর বসে প্রাণভরে ব্রহ্মপুত্র নদ দেখেন এবং শুনেন ব্রহ্মপুত্র নদের স্রোতধারার মিশ্রিত সুর।
সেতু সংলগ্ন এলাকার বাসিন্ধা শিক্ষক ইস্কাদার রোজ রিভেল জানান, ঈদের দিন কোরবানি করায় বিনোদন প্রেমীদের ভীড় তেমন ছিলনা। কিন্তু পরে দিন থেকে আজ পর্যন্ত অন্তত লক্ষাধিক বিনোদন প্রেমীর ভিড়ে পুরো সেতু এলাকা সকল সময় মুখরিত থাকে। পাশাপাশি এই সেতুকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় বেশ কয়েকটি মোদি দোকান। সেসব দোকানেও চলছে হরদম বেচা-কেনা।
জানা যায়, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর ৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতৃক উদ্বোধনকৃত সালটিয়া-হাজিগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ বাজার সেতুর কাজ গত মাসে শেষ হয়। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এ সেতুটি নির্মাণ করেছে এলজিইডি। ৮শ ১০ মিটার দৈর্ঘ্য ওই সেতু এলজিইডি নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় সেতু।
এছাড়াও গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর সড়ক ও জনপদ বিভাগ ২০০৫ সালে খুরশিদ মহল সেতু নামে অপর একটি সেতু নির্মাণ করে। উপজেলার পাঁচবাগ ইউনিয়নের খুরশীদ মহলে ওই সেঁতুটি নির্মান করা হয় তৎকালীন ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে। এই সেতুর উপরেও প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী ভিড় করছেন বলে জানা যায়।
