শ্যামলবাংলা ডেস্ক : যথাযথ মর্যাদা ও ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন হয়েছে সারাদেশে। নামাজ, পশু জবাই, শুভেচ্ছা বিনিময় এবং স্বজনের বাড়ি আর বিনোদন কেন্দ্রে বেড়ানোসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মুসলমানরা দিনটি কাটিয়েছে।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। আর রাজধানীতে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী।
রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য ও বিচারপতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এখানে নামাজ আদায় করেন। বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও বিশ্ব শান্তি কামনায় মোনাজাতের মধ্য দিয়ে নামাজ শেষ হয়। এছাড়া বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৭টা থেকে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদের নামাজের পরপরই দেশজুড়ে শুরু হয় পশু কোরবানি। রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার অলি-গলিতে গরু-ছাগল কাটা হয়। বিতরণ করা হয় দরিদ্রদের মধ্যে। চলে আত্মীয়দের মাঝে বিতরণ। এরপর শুরু হয় রান্না।
ঈদুল আজহা উপলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের সুখ আর সমৃদ্ধিও কামনা করেছেন তারা।
রাষ্ট্রপতি সকালে বঙ্গভবনে কূটনৈতিক কোরের ডিন ও বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সকাল ৯টায় গণভবনের লনে দলীয় নেতা-কর্মী, পেশাজীবী, গণ্যমান্য ব্যক্তি, কূটনীতিক, বিচারক ও সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে বেলা ১১টায় তিনি কূটনীতিক ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
রোজার ঈদের মতো এবারও ঈদের দিন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। বেলা সাড়ে ১১ টায় কূটনীতিক এবং বেলা সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিশিষ্ট নাগরিকসহ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রংপুরের প্রধান ঈদগাহ কালেক্টরেট মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেন। প্রতিবার রোজার ঈদ ঢাকায় করলেও কোরবানির ঈদ রংপুরেই উদযাপন করে থাকেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
ঈদুল আজহা উপলে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ রাজধানীজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার বেনজির আহমেদ। ঈদ উপলে বুধবার বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সাজানো হয়েছে মনোরম সাজে। রাতের জন্য রয়েছে আলোকসজ্জাও।
