শ্যামলবাংলা ডেস্ক : আগের রাতে মুষলধারে বৃষ্টি ঝরলেও এবারও দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে নামাজ শেষে বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত হয়। ১৬ অক্টোবর বুধবার সকাল ৯টায় ওই মাঠে ঈদুল আজহার জামাত পরিচালনা করেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
মঙ্গলবার রাত ১টা থেকে বুধবার সকাল ৭টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয় কিশোরগঞ্জে। আর এ কারণে প্রথম দিকে মুসল্লিদের উপস্থিতি কম থাকলেও বৃষ্টি কমে আসার সাথে সাথে জামাতে অংশ নিতে আসা মানুষের ঢল নামে শোলাকিয়া মাঠে। বৃষ্টির পানি জমে মাঠের অনেক স্থান নামাজের জন্য অনুপোযোগী হয়ে পড়লেও কাঁদা-পানিতে দাঁড়িয়েই নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগের দিন রাতেই অনেকে কিশোরগঞ্জে আসেন নামাজে অংশ নিতে। মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের সুবিধার জন্য ‘শোলাকিয়া স্পেশাল’ নামে দুটি বিশেষ ট্রেন ময়মনসিংহ ও ভৈবর থেকে ভোরে ছেড়ে আসে। মাঠ ও আশপাশের এলাকায় নেয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা।
১৮২৮ সালে শোলাকিয়ায় প্রথম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সে হিসেবে এবার ওই মাঠে ১শ ৮৬তম ঈদ জামাত হলো। মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর ষষ্ঠ বংশধর দেওয়ান হয়বত খান বাহাদুর কিশোরগঞ্জের জমিদারি প্রতিষ্ঠার পর ১৮২৮ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ৭ একর জমির ওপর ওই ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ১৮২৮ সালে প্রথম অনুষ্ঠিত জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন বলে মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখি মাঠ’। সেখান থেকে উচ্চারণের বিবর্তনে তা পরিণত হয়েছে আজকের নাম ‘শোলাকিয়া‘য়।
