শ্যামলবাংলা ডেস্ক : ভারতের রতনগড়ে দূর্গা মন্দিরে পদপিষ্টে ১১৫ জন নিহতের ঘটনায় ওই জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম) ও এসপিসহ ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন মধ্যপ্রদেশের মূখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।
একই সাথে ১৫দিনের মধ্যে বিচার বিভাগীয় তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
রতনগড় দুর্গামন্দিরের দুর্ঘটনায় প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন কংগ্রেস নেতা সত্যব্রত চতুর্বেদী। এছাড়া সিপিআই নেতা ডি রাজা দুর্ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন।
এদিকে ওই মন্দিরে বিপুল প্রাণহানির ঘটনায় বিচার বিভাগীয় কমিটি আজ ১৫ অক্টোবর মঙ্গল বার তদন্ত শুরু করেছে।
ওই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে আহতদের পাশাপাশি মৃতদেহও নদীতে ফেলা দেযার অভিযোগ উঠায় কমিটি প্রশাসনিক গাফিলতি তদন্ত করবে।
অভিযোগ সম্পর্কে ডিজিপি নন্দন কুমার দুবে জানিয়েছেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। সত্যতা প্রমাণিত হলে, যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উলেখ্য, গত রবিবার মধ্য প্রদেশের রতনগড়ের মানদুলা দেবি মন্দিরে একটি পুজার অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মর্মান্তিক
ঘটনায়
পায়ের তলায় পড়ে পিষ্ট হয় এবং , প্রাণে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ১১৫ জনের প্রাণহানি ঘটে।

ওই মর্মান্তিক এ ঘটনায় নিহতদের প্রতি পরিবারকে দেড় লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার ও কম আহতদের পঁচিশ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার৷
