ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা : নিজেকে আকর্ষনীয় করতে অনেকেই চুলে কলপ মাখেন। এখন এই কলপই মাখা হচ্ছে কোবানীর হাটে আনা ছাগলের লোমে। ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য ও দাম বেশি পাওয়ার আশায় ঠাকুরগাঁওয়ের কিছু ব্যবসায়ী এমন প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছেন।
সদর উপজেলার খোঁচাবাড়ি পশুরহাটের পশু ব্যবসায়ী আব্দুল খালেকের জানান,বাজারে সাদা ছাগলের চেয়ে কালো রংয়ের ছাগলের চাহিদা একটু বেশি। চাহিদার কারণে দামও একটু বেশি পওয়া যায়। একারণে অনেকেই ছাগলের লোমে কলপ মাখছেন।
শনিবার সকালে সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম পাশে মাদারগঞ্জ গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে,কাঁচা রাস্তার পাশে বাঁশ ঝাড়ের নিচে বেশ কযেকটি ছাগলের বেধে রাখা হয়েছে।এক ব্যক্তি সেই ছাগলগুলোর লোমে কিছু একটা মাখছেন। তাঁর হাত দুটি কালো কুচকুচে হয়ে আছে। সেই হাতের স্পর্শে ছাগলগুলো আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠছে। জানা গেল,
জনৈক ব্যবসায়ী জানান, আলাল নামে ঁতার এক ভগ্নিপতি ঢাকায় ছাগলের ব্যবসা করেন। তার কাছেই ওই ছাগলগুলো সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, গতকাল ছাগলের লোমে কলপ লাগিয়েছি। গোসল করানোর পর এখন সরিষার তেল মাখছি।কলপ লাগিয়ে সরিষার তেল মাখলে ছাগলের দেহ চকচক করে ।এতে বাজারে কোরবানির ছাগল কিনতে আসা লোকজন আকৃষ্ট হয়। আকৃষ্ট হলেই একটু বেশি দাম হলেও তারা ছাগলটি কিনে নেন ।
তিনি জানান, সাদা ছাগলের দেহ কালো করতে সাধারণত ফাইভ ষ্টার ব্যান্ডের চুলের কলপ ব্যবহার করেন তিনি । একটি ছাগলের জন্য তিনিটি মিনি প্যাকের কলপ লাগে।খরচ পড়ে ৩০ থেকে ৩৬ টাকা।বিনিময়ে একটি ছাগল থেকে অতিরিক্ত লাভ আসে কমপক্ষে পাঁচশ টাকা। তারা সাধারণত সাদা ও সাদা কালো মিশ্রিত রঙের ছাগলের লোমে কলপ মাখেন।
মাদারগঞ্জ গ্রামের আব্দুল আলী বলেন,শুধুমাত্র লাভের কারণে কোরবানীর পশু নিয়ে এমন কাজটি করা ঠিক নয়। এতে পশু ব্যাসায়ী লাভ পেলেও প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতা ।

আউলিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.জাফরুল্লাহ বলেন,ইউনিয়ন পরিষদের পাশে একজন ছাগলের ব্যবসা করেন বলে শুনেছি।তবে তিনি চুলের কলপ ব্যবহার করে সাদা ছাগল কালো করে বাজারে বিক্রি করেন কিনা,তা জানা নেই।
