এস. এম. তারেক নেওয়াজ, হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) : কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে কোরবানি পশুর প্রচুর আমদানি থাকলেও দাম কমে যাওয়ায় মোটা অংকের লোকসানের মূখে চরম বিপাকে পড়েছেন পাইকার, খামারি ও বিক্রেতারা।
শনি ও রবিবার উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রচুর সুন্দর ও সুটামদেহের বিভিন্ন আকৃতির গরু-ছাগল আমদানি রয়েছে। কিন্তুু গত বছরের তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও গরু প্রতি দাম প্রকারভেদে ১০/১৫ হাজার টাকা কমে গেছে। স্থানীয় পিতলগঞ্জ, আশুতিয়া, হারেঞ্জা, চরপুমদি ও হোসেনপুর বাজারের অনেক বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানাগেছে,গত বছর কোরবানির পশুর দাম ভাল পাওয়ায় এ বছর বিভিন্ন উৎস থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে লাভের আশায় গরু মোটাতাজা করেন তারা। কিন্তুু এবার কোরবানির পশুর দাম কমে যাওয়ায় মোটা অংকের লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। কারন হিসেবে তারা জানান, ভারত সহ বিভিন্ন দেশ থেকে গরু আমদানি হওয়ায় ঢাকার পাইকাররা স্থানীয় বাজার গুলোতে কম আসায় গরুর মূল্য অস্বাভাবিক কমে গেছে। উপজেলার শাহেদলের গরু পাইকার ইসমত আলী জানান.তিনি ঈদুল আযহার চাঁদ দেখার পর-পরই লাভের আশায় ১৫/২০টি গরু কিনে ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করে সব খরচ বাদে গরু প্রতি গড়ে ১৫ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। এতে তিনি ব্যাংক ঋণের জালে জড়িয়ে মোটা অংকের লোকসানের মূখে পড়েছেন। উপজেলার ধনকুড়া গ্রামের পশু ক্রেতা ফরিদ উদ্দিন জানান, তিনি আশুতিয়া বাজার হতে ৪০ হাজার টাকায় এ বছর যে গরুটি কিনেছেন গত বছর এই ক্যাটাগরির একটি গরু কিনতে ৫৫ হাজার টাকা লাগত। তাই এবার অনেক সাশ্রয়ে কোরবানি পশু কিনতে পেড়ে তিনি অত্যন্ত খুশি। কোরবানি পশুর দর পতনে স্থানীয় পাইকার ও খামারীদের দাবী সরকার এ খাতে সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে তাদের লোকসান পুষিয়ে দিবেন। অন্যথায় তাদের ব্যবসা গুটিয়ে ফেলা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না বলে মন্তব্য করেন।