হুমায়ুন কবির মৃধা সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন কর্মচারীর (দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী) ঈদের পূর্বে বেতন ভাতা প্রাপ্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে এই ৪৫ জন দরিদ্র পরিবারের ঈদ উৎসব ভেস্তে যেতে চলেছে। ১৩ অক্টোবর রোববারের মধ্যে বরাদ্দ উপজেলা কার্যালয়ে এসে না পৌছালে কর্মচারীরা ঈদের পূর্বে কোন প্রকার বেতন ভাতা পাবেননা বলে জানা গেছে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাথমিক শিা কার্যালয় ও কর্মচারীদের সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে (জুলাই, আগষ্ট ও সেপ্টম্বর) মাসে তিনদফায় সদর উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ জন দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরীর নিয়োগ প্রদান করা হয়। এ সকল কর্মচারীরা যোগদান করার পর দায়িত্বপালন শুরু করে। গত বৃহষ্পতিবার পর্যন্ত তাদের বেতন ভাতা বাবদ বরাদ্দর টাকা প্রাথমিক শিা অধিদপ্তর ঢাকা থেকে না আসায় তাদের ঈদের পূর্বে বেতন ভাতা প্রাপ্তি অনিশ্চত হয়ে পড়েছে। কর্মচারীরা অীভযোগ করে বলেন, জুলাই মাসে ২০জন, আগষ্ট মাসে ১৭ জন এবং সেপ্টম্বর মাসে ৮ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। আমরা সবাই সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করছি। কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, বরাদ্দ না আসায় ঈদের পূর্বে বেতন পাওয়া যাবেনা। যে কারনে আমারা পরিবার পরিজন নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিা কর্মকর্তা শহীদুজ্জামান জানান, প্রাথমিক শিা অধিদপ্তর ঢাকা থেকে বেতন ভাতার অর্থ বাবদ বরাদ্দ পাঠানো হলেও গত বৃহষ্পতিবার পর্যন্ত পত্র পাওয়া যায়নি। আজ রোববারের মধ্যে পত্র পেলে ট্রেজারী থেকে অনুমতি সাপেে বেতন ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। তবে শুধু ঈদের পূর্বে একদিন সরকারী ট্রেজারী ও ব্যাংক খোলা থাকায় সমস্যা হবে।
