ইয়ানুর রহমান, যশোর : আব্বু বেঁেচ থাকতে কত লোককে দেখেছি আমাদের বাড়িতে আসতে। আমাদের আদর করতে। সে দিন গুলি আজ অতীত। আব্বু নিহত হবার পর থেকে কেউ খোঁজ নেয়নি কিভাবে কাটছে আমাদের দিনগুলি। কিভাবে কাটছে আমাদের ঈদ।

বাংলা নিউজ ২৪ ডট কম’র বেনাপোল প্রতিনিধি আজিজুল হককে নিয়ে শনিবার বিকেলে মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে নিহত শার্শার পল্লীর সাহসি সাংবাদিক জামালের পরিবারের খোঁজ খবর নিতে গেলে ওই কথা গুলি বলেন জামালের বড় মেয়ে রিয়া। সে আরো বলে, আব্বু নিহত হবার পর অনেক সাংবাদিককে দেখেছি। অনেকে আমাদের দিয়েছে শান্তনা।
আমার আব্বু সৎভাবে সাংবাদিকতা করার ফলে কিছুই রেখে যেতে পারেনি। ভিটে বাড়ি পর্যন্ত আব্বু রেখে যাননি। আব্বুর মৃত্যুর পর তিনটি ঈদ পার হয়ে গেলে ওইসব সাংবাদিক বা শুভাকাঙ্খিদের আর খোঁজ মেলেনি।
রিয়া চোখের কোন মুছে আবারো বলে, অনেকে প্রতিশ্র“তি দিয়েছিল আমাদেরকে দেখবে। লেখাপড়ার খরচ যোগাবে। এখন পরীক্ষার ফি’র টাকাও জোগার করতে পারিনা। ঈদ’তো অনেক দুরের কথা। এ কথা বলতে বলতে রিয়া, তার বোন নিহা ও নিহত জামালের স্ত্রী সোনালী বেগম ডুকরে কেঁদে ওঠে। ছুটে যায় জামালের সমাধির পাশে। ভারাক্রান্ত মন নিয়ে জামালের সমাধির দিকে নিরবে চেয়ে থাকে তারা। হঠাৎ করে রিয়া কেঁদে উঠে বলেন, আমরা আর পারছিনা। কেউ আমাদের খোঁজ নেয়না। তোমার কাছে আমাদের নিয়ে যাও আব্বু।
উল্ল্যেখ্য, ২০১২ সালের ১৫জুন রাতে শার্শার কাশিপুর বাজারের একটি চায়ের দোকানে মাদক ব্যবসায়ীরা মর্মান্তিকভাবে হত্যা করে সাহসি সাংবাদিক জামালকে।
