ads

রবিবার , ১৩ অক্টোবর ২০১৩ | ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে তা আত্মঘাতী হবে : মির্জা ফখরুল

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
অক্টোবর ১৩, ২০১৩ ২:২৮ অপরাহ্ণ

Fakhrulএ.কে আজাদ বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) : আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে তা আত্মঘাতী হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, একজন এমপি থেকে নির্বাচন করবেন, আরেক জন রাস্তায় থেকে নির্বাচনে অংশ নিবেন, তাহলে সবার সমান সুযোগ কোথায়? তাই তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন হবে না। তিনি ১২ অক্টোবর শনিবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বিএনপির আয়োজনে রুহিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় ওইকথা বলেন।

Shamol Bangla Ads

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের প্রধান শত্র“ আখ্যা দিয়ে মির্জা আলমগীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে অশালীন ভাষায় বিরোধী দলীয় নেত্রীকে গালাগাল করেন তা একজন প্রধানমন্ত্রীর মুখে মানায় না।
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ৫০ শতাংশের বেশি ভোটার বাইরে রেখে নির্বাচনের সাহস দেখালে পরিণতি হবে ভয়াবহ।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিকের উদাহরণ দিয়ে মির্জা আলমগীর বলেন, একটি পত্রিকার জরিপে বেরিয়েছে দেশের অর্ধেক মানুষ (৫০.৩ শতাংশ) বিএনপিকে ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুত। আর নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে যে দাবিতে বিএনপি আন্দোলন করছে, দেশের ৯০ ভাগ মানুষ সেই তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতিতেই নির্বাচন চায়। তাই বিএনপির মতো জনপ্রিয় দলকে বাদ দিয়ে সরকার একরতফা নির্বাচনের সাহস দেখালে তার পরিণতি ভালো হবে না।
প্রশাসনকে আগামী নির্বাচনে শতকরা ৫০ ভাগ ভোট কাস্ট করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, সরকারের নিজস্ব রিপোর্টে বলা হয়েছে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ২৪টিতে ভোটের বাক্স নিয়ে যাওয়া যাবে না। আর ২০টি জেলায় ভোটের বাক্স নিতে পারলেও দিন শেষে তা ফিরিয়ে আনা যাবে না। আর ২০টি জেলায় গায়ের জোরে ১০ ভাগ ভোট কাস্ট করতে পারবে। একথা বুঝতে পেরেই সরকার একতরফা নির্বাচন করতে চাচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না দিয়ে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান তিনি।
সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার মানসিক দিক দিয়ে বাকশালী। মানুষের কথা শুনতে চায় না। সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন দিতে চায়। তা বাংলার মাটিতে তাদের এই দিবাস্বপ্ন পূরণ হতে দেয়া হবে না। এজন্য ১৮ দলীয় জোটের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগের আহবান জানান তিনি। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরিকল্পনা থেকে সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ভালোয় ভালো পরিকল্পনা থেকে সরে এসে জনগণের দাবি মেনে নিন। অন্যথায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নীলনকশা প্রতিহত করা হবে।b.n.p-2
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সমঝোতার সকল পথ রুদ্ধ করে দিয়েছেন। এ অবস্থায় রাজপথে আন্দোলন ছাড়া বিএনপি’র আর কোন পথ খোলা নেই।
মির্জা আলমগীর বলেন, মিঠা কথায় হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো যাবে না। তার জন্য কঠোর আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হবে শেখ হাসিনাকে। বিএনপি আপোষ নয় আন্দালন করতে জানে। গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে তাই আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। ‘ক্ষমতায় না থাকতে পারলে সরকারি কর্মকর্তাদের মেরে ফেলা হবে’ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ওই বক্তব্যের প্রসঙ্গে বিএনপি’র এই নেতা বলেন, বিএনপি মেরে ফেলার রাজনীতি করেনা। দেশ ও জনগণের কল্যাণেই বিএনপি এদেশে রাজনীতি করে।
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন লালের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় নেতা এ.জেড. এম রেজুয়ানুল হক, জেড মতুর্জা চৌধুরী তুলা, মোতাহার হোসেন, আক্তারুজ্জামান মিয়া, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তৈমুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা যুবদলের আহবায়ক মহেবুল্লাহ আবু নূর প্রমুখ।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!