সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি : সাপাহারের শেষ কোরবানীর পশুর হাটটি জমে উঠেছিল ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের পশুর সমাহারে। উপজেলা সদরে উপজেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট ছিল শনিবার। পবিত্র কোরবানী আগামী বুধবারে হওয়ায় এটিই ছিল সাপহারবাসীর জন্য শেষ হাট। এ হাটে পশুও আমদানী হয়েছিল প্রচুর দামও ছিল ক্রেতাদের হাতের নাগালে। হাটে সর্বচ্চ ১লক্ষ ৬০হাজার টাকায় একটি বিদেশী ষাঁড় বিক্রি হতে দেখা গেছে। সাধারনত ছোট পশুর তুলনায় বড় পশুর দাম একটু হলেও কম। হাটে আমদানীকৃত পশুর মধ্যে বেশির ভাগই ভারত থেকে আমদানী করা। এবারে কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে এলাকার চোরাকারবারীরা বহু পূর্ব হতেই বেশ তৎপর ছিল পশু আমদানীতে। সে হিসেবে তারা উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রচুর পরিমান পশু আমদানী করে। গরু ব্যাবসায়ী শফিউদ্দীন জানান যে, গত বছরের তুলনায় এবারে লাভ অনেকটাই কম কারন এবারে গরুর আমদানী বেশী। উপজেলার পিছল ডাঙ্গা গ্রামের আলাওয়াদ্দীন নামের এক ক্রেতা জানান যে, গত বছর যে গরুটি আমি কোরবানী জন্য কিনেছিলাম এবারে দুই হাজার টাকা কম দিয়ে সে গরুটি পেয়েছি। গরুর বাজার তুলনামুলক কম হওয়ায় এলাকার গরু পালনকারীগন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে, দ্রব্যমূল্য উর্ধ গতির বাজারে গরু পালন করে এবারে আমাদের লোকসান গুনতে হয়েছে। কারন হিসেবে তারা উল্লেখ করেন যে, বাজারে গো খাদ্যের মূল্য অনেক একটি গরুর পিছনে যে অর্থ ব্যায় হয়েছে এখন সে গরুটি বিক্রি করতে এসে তার দাম পাওয়া যাচ্ছেনা। ভারত থেকে অধিক পরিমান গরু আমদানীকেই এ জন্য দায়ী করেছেন তারা। উপজেলার ফুটকইল গ্রামের গরু পালনকারী মোসলেম উদ্দীন জানান যে, এবারে সে দেশী ষাঁড়টি পালন করেছেন তার আশা ছিল কোরবানীর হাটে সেটি বিক্রি করে বেশ কিছু অর্থ লাভ করবেন। কিন্তু বাজার খারাপ হওয়ায় মন মত দামে বিক্রি হচ্ছেনা। অতীতের বাজার মূল্যে তার ষাঁড়টির মূল্য প্রায় ৬০হাজার টাকা হলেও বর্তমানে হাটে সেটির সর্বচ্চো মূল্য বলছে ৪৮হাজার টাকা। লাভের আশায় গরু পালন করে এখন লোকশান গুনতে হচ্ছে। যাই হোক এবারে গরুর বাজার তুলনা মুলক কম হওয়ায় ভাগে হলেও এলাকার সাধারন পরিবারগুলি কোরবানী দিতে পারবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন। সে হিসেবে এবারে উপজেলায় গত বছরের তুলনায় কোরবানীর সংখ্যা কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পাবে। সাপাহার উপজেলার মানুষ ধর্ম প্রাণ ও ধর্ম সহিষ্ণু হওয়ায় একই সাথে এবারে মোসলমানদের কোরবানী ও হিন্দু ধর্মের দুর্গা পুজা সুন্দর ও সুষ্ঠ ভাবে পালন হবে বলেও অভিজ্ঞ মহলের ধারনা।
