মোঃ কামরুল হাসান,মহম্মদপুর (মাগুরা) : দরিদ্র কুটিরে জন্ম। অভাবের কারণে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে পিতা-মাতার সংসারে কাজ শুরু করে। এরই মধ্যে বছর দেড়েক আগে প্রতিবেশি যুবকের প্ররোচণায় প্রেমে মজে যায় ১৪ বছর বয়সী রোজিনা খাতুন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রুহুল ফকির (২৪) নামের প্রেমিক দৈহিক সম্পর্কে বাধ্য করে। এরপর লুকিয়ে মাঝে মধ্যেই তারা শারিরীক সম্পর্কে মিলিতো হতো। এক পর্যায়ে অন্তসত্বা হয়ে পড়ে শিশু রোজিনা খাতুন। বিষয়টি প্রেমিক রুহুল ফকিরকে জানালে সে বাচ্চা নষ্ট করে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। রোজিনা তাকে বিয়ে করার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু কোনো মতেই বিয়ে করতে রাজি নয় প্রেমিক রুহুল ফকির। ১১ মাস পূর্বে রোজিনা খাতুন পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। এরপর থেকে পলাতক রয়েছে ওই প্রতারক প্রেমিক। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে মাগুরার মহম্মদপুরের বড়রিয়া গ্রামে।
শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় রোজিনা খাতুন ও তার পিতা জহুর মোল্যার সাথে। নবজাতক শিশুর নাম উজ্জল। রোজিনা সন্তান জন্ম দেয়ার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে প্রতারক রুহুল ফকির।
এদিকে কুমারি মাতা রোজিনা তার সন্তানের পিতৃত্বে স্বীকৃতির জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। অজ্ঞতা আর নিরাপত্তার কারণে মামলা করতেও ভয় পাচ্ছে দরিদ্র দিনমজুর ওই পরিবারের লোকজন। রোজিনা এখন লোকলজ্জায় অনেকটা একঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
রোজিনা খাতুন জানায়, অবুঝ শিশুটির জনক প্রতিবেশী রুহুল ফকির হলেও সে পিতৃত্ব স্বীকার করছে না। ভালোবাসার নামে সে আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।
রোজিনার দরিদ্র পিতা জহুর মোল্যা বলেন, বিয়ের লোভ দিয়ে আমার মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। আমি গরীব বলে বিচার পাচ্ছি না।
মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ধরণের কোনো অভিযোগ নিয়ে আমাদের কাছে কেউ আসে নি। তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।