শ্যামলবাংলা ডেস্ক : আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান অর্গানাইজেশন ফর দ্যা প্রহিবিশন অব কেমিকেল ওয়েপন্স (ওপিসিডব্লিউ) এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছে। সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসে ব্যাপক চেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে ওই প্রতিষ্ঠানটিকে ২০১৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি। ১১ অক্টোবর শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩ টায় অসলোয় আনুষ্ঠানিকভাবে ওই ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিশ্ববাসী ও মিডিয়াগুলোর ধারণা ছিল, পাকিস্তানি নারীশিক্ষা কর্মী মালালা ইউসুফজাই এ বছরের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাবেন। মালালা না পেলে কঙ্গোর চিকিৎসক ডেনিস মুখওয়েগের হাতে যাবে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি। পুরস্কার ঘোষণার পূর্ব মুহূর্তেও এমনটিও ধারণা ছিল সবার। ওপিসিডব্লিউ জাতিসংঘের কোনো অঙ্গ বা সহযোগী সংস্থা নয়। তবে নীতি নির্ধারণ ও প্রয়োগে একে অপরকে সহযোগিতা করে।
জাতিসংঘের সহায়তায় ৬ অক্টোবর থেকে ওপিসিডব্লিউ’র তত্ত্বাবধানে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি সিরিয়ার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায় সংস্থাটি। সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসে রাজি হওয়া দেশটি পশ্চিমা হামলা থেকে বেঁচে যায়। ওপিসিডব্লিউ দেশটিতে আগামী ১ নভেম্বর থেকে পুরোদমে রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস চালাবে। সিরিয়ায় পশ্চিমা আগ্রাসন এড়াতে রাশিয়ার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করা হচ্ছে।
১৯৯৭ সালের ২৯ এপ্রিল প্রতিষ্ঠার পর থেকে ওপিসিডব্লিউ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহাররোধ ও ধ্বংসে কাজ করে যাচ্ছে। বতর্মানে ওপিসিডব্লিউর সদস্য সংখ্যা ১শ ৮৯জন। ৫শ কর্মকর্তা-কর্মচারীর এ প্রতিষ্ঠানটির বাৎসরিক ব্যয় ৭ কোটি ৪০ লাখ ইউরো। নেদারল্যান্ডসের হেগে ওপিসিডব্লিউ’র সদর দফতর অবস্থিত।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৬ দশক ধরে ইউরোপে শান্তি ও সংহতি সুসংহত করা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য সংগঠনটিকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়।