এস. গুলবাগী, বগুড়া : পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে উত্তর বঙ্গের সর্ববৃহত্তম ঐতিহাসিক মহাস্থান হাট কোরবানী পশু হাট জমে উঠেছে। উত্তর বঙ্গের প্রাণকেন্দ্র বগুড়া থেকে ১২ কি.মি উত্তরে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় প্রাচীন কাল থেকে ওই হাটে কোরবানী পশুর হাট প্রসিদ্ধ।
হাটটি প্রতি সপ্তাহে বুধবার ও শনিবার হয়ে থাকলেও মূলত: প্রতি বুধবার সপ্তাহিক হাটবার হওয়ায় প্রচুর পরিমানে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, আমদানী হয়। বিক্রিও ভাল। ওই হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের সুবিধার্থে হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার সহ লাইটিং এর ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতি হাটে পুলিশ আনসার যথারীতি দায়িত্ব পালন করেন। সব মিলিয়ে এ হাটটি সুন্দর ভাবে পরিচালনা হয়ে আসছে। অতি আগ্রহে উত্তর ও দক্ষিনাঞ্চলের ক্রেতা বিক্রেতা কুরবানীর পশু ক্রয় করে নিয়ে যায়। প্রাচীন কাল থেকে ঐতিহাসিক মহাস্থান হাটে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, ক্রয় বিক্রয় হয়ে আসছে তাই এই হাটটিকে ঐতিহাসিক হাট বলে গণ্য করা হয়। বিশাল আয়তনের এই হাটটিতে জায়গা সংকলন না হওয়ায় রংপুর-বগুড়া মহাসড়ক, শিবগঞ্জ-মহাস্থান মহাসড়কে ক্রেতা বিক্রেতাদের কোরবানীর গরু বিক্রি করতে দেখা গেছে। আগমী ১৬ অক্টোবর পবিত্র ঈদুল আযহা তাই ক্রেতা বিক্রেতাদের সুবিধার্থে আগামী শনিবারেও কোরবানীর পশু হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাট পরিচালনা কমিটি।
সরেজমিনে কোরবানীর হাট পরিদর্শন কালে দেখা যায়, একটি ফ্রিজিয়ান ষাড়ের দাম হাকা হচ্ছে দুই লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। কিন্তু বিক্রেতা নামুজা ধলমহিনী গ্রামের জাহিদুল ইসলাম জানান গরুটি ৩ লক্ষ টাকা হলে বিক্রি করবেন তিনি। অনুরূপভাবে ছাগল হাটে একটি ছাগলের দাম হাকা হচ্ছে ৩০ হাজার টাকা কিন্তু বিক্রেতা বগুড়া সদরের লাহীড়িপাড়া কোয়ালী পাড়া গ্রামের আরিফুল ইসলাম জানালেন ৩৫ হাজার টাকা হলে ছাগলটি বিক্রি করবে। এ ব্যপারে হাট ইজারাদার বগুড়ার শুকরা এন্টারপ্রাইজের মালিক আব্দুল মান্নান ও হাট পরিচালক তাজুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ক্রেতা বিক্রেতাদের সুবিধার্ধে হাটে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
