তাপস কুমার, আত্রাই (নওগাঁ) : নওগাঁর আত্রাই নদীতে প্রকাশ্যে সুতি জাল দিয়ে অবাধে মাছের পোনা ও ডিমসহ মা মাছ ধরায় মাছের বংশবৃদ্ধি হ্রাস পাচ্ছে। সেইসাথে ধ্বংস হচ্ছে মৎস্য সম্পদ। ‘মাছের পোনা দেশের সোনা’’ এ প্রবাদটি বাক্যেই রয়ে গেছে। বাস্তবতার সাথে তার কোন মিল নেই। সুতি জাল দিয়ে মৎস্য সম্পদ নিধনের নিষেধাজ্ঞা আইন থাকলে ও তার যথাযথভাবে প্রয়োগ না হওয়ায় কিছু অর্থ লোভী অসাধু মৎস্য শিকারিদের দ্বারা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার। সরকার কারেন্ট জাল উৎপাদনের সাথে যুক্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, বাজারজাত, ক্রয় ও ব্যবহারকারিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে, মাছের অভাব থেকে দেশ কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে। উপজেলার শুটকিগাছা-বামনিগ্রাম এলাকায় অবৈধ সুতি জাল দিয়ে অবাধে চলছে মাছ ধরার মহোৎসব।
জানা যায়, এক শ্রেণীর অর্থ লোভী অসাধু মৎস্য শিকারী, ক্ষমতাসিন দলের কতিপয় নেতা ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা যোগসাজসে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে কোন প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অবাধে সুতি জাল দিয়ে মাছ নিধন করা হচ্ছে। নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের ব্যাপক ব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে দেশি প্রজাতির মাছ। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন নদ নদীতে এক শ্রেণীর মৎস্য শিকারী দিন রাত কারেন্ট ও ভাদায় জাল দিয়ে দেশি প্রজাতির টেংরা ,পুঁটি, শোল, বোয়াল ,শিং ,পবদা ,বাতাসি ,কৈ ,গচি ,বাইম সহ বিভিন্ন প্রকার মাছ অবাধে শিকার করছে। সুতি স্থাপকারীদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহন করছেন না প্রশাসন। বিশেষ করে উপজেলার শুটকিগাছা ও বামনিগ্রাম এলাকায় সাতটি সুতি জাল পেতে রাখা হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, দিন রাত ওই সকল সুতি জালে দেশিয় প্রজাতির মাছ ধরা হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে বিলুপ্ত হয়ে যাবে আত্রাই উপজেলার মিঠা পানির মাছ।
