এম. এ করিম মিষ্টার, নীলফামারী : ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নীলফামারীর বিভিন্ন হাটবাজারগুলো এখন কোরবানির পশু বেচাকেনা জমে উঠেছে। বাজারে প্রচুর আমদানি হচ্ছে গরু-ছাগলের, দামও গতবছরের তুলনায় কম। জেলার কোরবানীর পশুর হাট জমে ওঠায় দালালদের দৌরাত্মে ক্রেতারা নানা বিড়ম্বনায় পড়ছেন। হাটবাজারগুলোতে ক্রেতার উপস্থি’তি নিতান্তই কম। তার উপর দালালদের দৌরাত্মে বাড়তি দামে পশু বিক্রেতাদের আশায় গুঁড়েবালি হয়েছে। কোরবানির ঈদের আর মাত্র হাতেগোনা কটা দিন বাকি। হাটে ক্রেতার আগমন তেমন একটা না থাকলেও পশু আমদানি হচ্ছে প্রচুর। হাটে আগত বেশিরভাগ ক্রেতা দরদাম করে পশু কেনার চেষ্টা করছেন। তবে দালালদের কারণে তারা পশু কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। হাটবাজারে ক্রেতাদের মধ্যে শহরে ব্যবসায়ী ও চাকরীজীবীদের বেশি দেখা গেলেও গ্রামের ক্রেতা তুলনামূলকভাবে কম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রামের কৃষকরা রোপা আমন আবাদে সকল পুঁজি নিয়োগ করেছেন। ভালো ফলনের জন্য কীটনাশক, সার ও শ্রমিকদের মজুরী প্রদান করায় তাদের হাতে নগদ টাকা- পয়সা নেই। আগামি হাটগুলোতে বেচাকেনা বাড়তে পারে বলে ইজারাদাররা মনে করছেন। এদিকে কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে জাল টাকা আতংক বিরাজ করছে। এসব হাটে জাল টাকা ছড়ানোর সিন্ডিকেট চক্র যেন কোনোভাবেই প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে ব্যাপারে আইন-শৃংখলা বাহনীর সহায়তা ও জাল টাকা চেনার মেশিন স্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে।
