ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা : গতবারের তুলনায় এবার আমদানি বেশী। কিন্তু অভাব অনটনের কারণে ঠাকুরগাঁওয়ের কোরবানীর পশুরহাট গুলোতে মন্দা ভাব চলছে। তাই ক্রেতা না থাকায় লোকসান দিয়ে গরু বিক্রি করছে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
বাজারে পর্যাপ্ত গরু। কিন্তু ক্রেতা নেই। তাই হতাশ কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। জেলার লাহেড়ী, খোচাবাড়ি, নেকমরদ, মাদারগঞ্জ, শীবগঞ্জ, রামনাথ,কাতিহার, গড়েয়া পশুরহাট ঘুরে দেখা গেছে, আমদানী বেশি থাকায় দাম উঠছেনা গরু-ছাগলের। আকার ভেদে প্রতিটি গরু বিক্রি হচ্ছে ১৩ হাজার টাকা থেকে ৫৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। অনেকে বাধ্য হয়ে লোকসান দিয়েই গরু বিক্রি করছে। এতে সবচে তিগ্রস্তের মুখে পড়েছে খামারী ও কৃষকরা । গরুর খামারী ও কৃষকরা জানান, এবার তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য পাট ও ধানের দাম কমে আসায় গরুর দাম উঠছেনা। আর গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারীরা প্রতি গরুতে লোকাসান গুনছে দুই হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। সোমবার মাদারগঞ্জ হাট থেকে শহরের হাজিপাড়া মহলার গোলাম মোস্তফা কোরবানীর জন্য ষাঁড় কিনে ১৪ হাজার টাকায়। তিনি জানান,গতবার এই গরুর দাম ছিল ১৬ হাজার টাকা।

জগন্নাথ পুর ইউপি সদস্য ও হাট ইজারাদার গনেশ চন্দ্র রায় জানান আমদানী বেশি,ক্রেতা না থাকা আর অন্য জেলার ক্রেতা না আসায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আর খাদ্যের মুল্যের বৃদ্ধি আর পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় তাদেরও লোকসান গুনতে হচ্ছে।
কোরবানীকে সামনে রেখে গড়ে ওঠা গরু মোটাতাজাকরন প্রকল্প হতে নিয়ে অনেকেই এবার লোকাসানের মুখে। ঈদের আগ মূহুর্ত পর্যন্ত এই অবস্থা থেকে উত্তোরণ হবে এমন প্রত্যাশা ব্যবসায়ী, কৃষক ও খামারদের।
