মো. মহসিন মাতুব্বর আমতলী (বরগুনা) : একদিকে মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা এবং অন্যদিকে হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আসন্ন দুই ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে জমে উঠেছে আমতলীসহ উপকূলের বিভিন্ন বাজারে কেনাকাটা। ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে বিক্রেতারা পার করছেন ব্যস্ত সময়।
কোরবানীর এই ঈদে পোশাকআশাকের চাইতে রান্নার সরঞ্জামাদির দিকেই মুসলমানদের আগ্রহী অপেক্ষাকৃত বেশি। কিন্তু তাই বলে জামাকাপড়ের দোকানে ভিড় কম নেই। ঈদুল ফিতরের সময়ের চেয়ে কেনাকাটা এই ঈদে তুলনামূলকভাবে কম, তবে ঈদ ও পূজা পাশাপাশি হওয়ায় বেশ ভালই জমে ওঠেছে কেনাবেচা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আমতলী পৌরশহরের সাকিব প¬াজা, তালতলী, মহিষকাটা, গাজীপুরসহ উপকূলের দোকান গুলোতে উচ্চ ও মধ্যেবিত্ত দুইশ্রেণীর ক্রেতারাই ভিড় জমাচ্ছেন। এদিকে শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে কেনাকাটায় ব্যস্ত এক গৃহিণীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো, ‘বাচ্চাদের শান্তির জন্য পারলে মহালয়ার দিন থেকেই তাদের জন্য প্রতিটা দিনের জন্য আলাদা জামা কিনতে হচ্ছে। বড়দের সেই ঝামেলা না থাকলেও, সামনেই ষষ্ঠী থেকে বিজয়ার দিন পর্যন্ত পড়ার জন্য একাধিক পোশাক কেনা তো আছেই, পাশাপাশি আত্মীয় স্বজনদের উপহার দেয়ার জন্যেও কিনতে হচ্ছে। তাই এখন খুবই ব্যস্ত সময় যাচ্ছে।’
আবার পূজার কথা মাথায় রেখে শাড়ির ডিজাইনে প্রাধান্য পেয়েছে হালকা। ঈদে ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্ক্রিনপ্রিন্টের কাজ করা হয়েছে। আর পোশাকগুলোতে ধর্মীয় ভাব ফুটিয়ে তুলতে ফ্যাশন হাউজগুলো অলংকরণ হিসেবে শ্রী শ্রী দুর্গা, গণেশসহ অন্যান্য দেব-দেবীর ছবি এবং ওম, ত্রিশূল ও বিভিন্ন শে¬াক ও মন্ত্র ছেপে ডিজাইন করেছে পোশাক। ঈদ ও পূজা দুটোতেই মসলিন, অ্যান্ডি, সিল্ক, সুতির বিভিন্ন ধরণের কাপড়ের ওপর প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। ঈদ আর পূজা উপলক্ষে দোকান গুলোতে শাড়ির দাম এক হাজার ২শ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া পাঞ্জাবি এক হাজার ৫শ থেকে ৫ হাজার, সালোয়ার কামিজ এক হাজার থেকে শুরু করে ৬ হাজার, টি-শার্ট ২শ ৫০ থেকে ৫শ, বাচ্চাদের পোশাক ৫শ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।
ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদুল ফিতরের চাইতে এই সময়ে দাম অপেক্ষাকৃত কম। তাই মোটামুটি বাজেটের মধ্যেই কেনাকাটা সারতে পেরে হাসিমুখেই বাড়ি ফিরছেন তারা।
