ads

মঙ্গলবার , ৮ অক্টোবর ২০১৩ | ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

মৌলভীবাজারের সহস্রাধিক মন্ডপে চলছে শারদীয় দূর্গোৎসবের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
অক্টোবর ৮, ২০১৩ ৮:৩০ অপরাহ্ণ

Moulvibazar Puja Preparationj pic-2প্রত্যুষ তালুকদার, মৌলভীবাজার : শরতের আমেজে উৎসবমূখর বাংলায় আবার এসেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান দূর্গাপূজা। দেশের অন্যান্য জেলার মতো মৌলভীবাজারের পূজামন্ডপ গুলোতেও চলছে মাকে বরন করে নেওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি। পূজা মন্ডপগুলো সাজছে নানান সাজে। অনেক মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজও শেষ পর্যায়ে। কোনটার আবার রঙের কাজ চলছে। ভক্তদের অভ্যর্থনা জানাতে বাহারী সাজের গেট আর তোরন তৈরী হচ্ছে প্রতিটি মন্ডপে।
মৌলভীবাজারের পূজা মন্ডপগুলোর মধ্যে বিশেষ আকর্ষন হিসেবে প্রতিবারই পৌরানিক ‘থিম’ অনুসরন করে ত্রিনয়নী পূজা পরিষদ। এবারে সতী দেবীর মৃত্যুর পর পার্বতীর জন্ম থেকে বিবাহ পর্যন্ত বিভিন্ন পৌরাণিক ঘটনার আবহে অর্ধশতাধিক প্রতিমা তৈরী করছে ত্রিনয়নী পূজা পরিষদ। ত্রিনয়নীতে পূজা দেখতে আসা ভক্তরা একটি দানবের মুখ দিয়ে পেটের ভেতর প্রবেশ করে সেখানে তিনটি স্তরে প্রতিমা দেখে দেখে দানবটির লেজ দিয়ে বের হবেন। ত্রিনয়নী পূজা পরিষদের সভাপতি শ্রীকান্ত দাশ জানান, শতাধিক প্রতিমার এই আয়োজনের এবার ৬ষ্ঠতম বর্ষ। তাই প্রতিবারের মতোই এবারো আকর্ষনীয় এ পূজো দেখতে লক্ষাধিক মানুষের আগমন প্রত্যাশা করছেন আয়োজকরা।
মৌলভীবাজার জেলার ৭শ ৭২  টি পূজামন্ডপে এবারের দূর্গাপূজো অনুষ্ঠিত হবে। সংঘ, মন্দির আর ব্যক্তিগত পূজো মিলিয়ে সংখ্যা দাঁড়াবে এক হাজারে। প্রতিটি উপজেলায় দূর্গোৎসবের অয়োজকরাও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। সেরে নিচ্ছেন শেষ মহুর্তের প্রস্তুতি। ত্রিনয়নী পূজা মন্ডপের প্রতিমা শিল্পী দীপক পাল বলেন, ‘১০ জন কারিগর নিয়ে টানা ১৫ দিন যাবত প্রতিমা তৈরীর কাজ করছি। তবে শেষ দিকে এসে পরিশ্রম অনেকটাই বেড়ে গেছে। তবে মায়ের আশীর্ব্বাদে ষষ্টীর আগেই সব কাজ শেষ করা যাবে’।
পূজা উদযাপন কমিটিও ব্যস্ত প্রতিটি উপজেলা থেকে গ্রামের পূজোমন্ডপগুলোর তদারকিতে। জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি নিহির কান্ত দে মিন্টু জানান, সামর্থ্য অনুযায়ী সংঘ এবং মন্দির গুলোতে পূজা বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। পূজা চলাকালে দর্শনার্থী ও ভক্তদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানে প্রতিটি অঞ্চলে উদযাপন কমিটির সাথে প্রতিনিয়িত মতবিনিময় চলছে। এছাড়াও প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় করে সমন্বিতভাবে সফল অয়োজনে সচেষ্ট তারা।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার তোফায়েল আহাম্মদ জানালেন, বাঙ্গালীর এই শারদীয় উৎসব নির্বিঘœ ও নিরাপদ করতে পুলিশ প্রশাসন গ্রহন করেছে নানা পরিকল্পনা। আর সে অনুযায়ী বিভিন্ন স্তরে চলছে তাদের নিরাপত্তা প্রস্তুতি। বিশেষ করে রাজনগরের পাঁচগাও, কুলাউড়ার কাদিপুর, রূপসপুর, ত্রিনয়নীর মতো বড়ো অয়োজনকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হবে।
এদিকে শেষ মূহূর্তের পূজোর কেনাকাটার ধুম লেগেছে মার্কেট ও বিপনী বিতান গুলোতে। মৌলভীবাজারের অভিজাত পোষাক বিক্রেতাদের মধ্যে এমবি ক্লথ ষ্টোর, বিলাস ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর, জেদ্দা ক্লথ ষ্টোর এগিয়ে আছে এবার। তবে গেলো বছরের তুলনায় খানিকটা মূল্য বৃদ্ধির অভিযোগও রয়েছে ক্রেতাদের। তারপরও সামর্থ অনুযায়ী বাজেট সমন্বয় করে পরিবারের পূজোর কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন ক্রেতারা।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!