ads

মঙ্গলবার , ৮ অক্টোবর ২০১৩ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

উত্তর জনপদে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
অক্টোবর ৮, ২০১৩ ৮:১৮ অপরাহ্ণ

Machang Sobji Bijtolaএম.এ করিম মিষ্টার, নীলফামারী : শীতকালীন সবজি চাষের আগাম কাজ শুরু হয়েছে নীলফামারীসহ কৃষি নির্ভর উত্তর জনপদের জেলাগুলোতে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আগাম সবজি চাষে বাধা হতে পারেনি উত্তর জনপদের কৃষি অঞ্চলে। এবারে বর্ষার পরেও হালকা বৃষ্টিপাত চলতে থাকায় নতুন প্রযুক্তিতে কৃষক সবজির বীজতলা তৈরি করেছে এবং এখন সেসব বীজতলার চারা লাগানো হচ্ছে ক্ষেতে। রংপুর কৃষি অঞ্চলের ৮ জেলার অধিকাংশ জমিতেই লাগানো আছে রোপা আমন। আর মাস খানেক পরে শুরু হবে সেসব কাটা- মাড়াইয়ের কাজ। তাই এখন চলছে অপেক্ষার পালা, তবে যেসব জমি উঁচু এবং আমন আবাদ সম্ভব হয়নি, সেসব জমিতে লাগানো হচ্ছে সবজি।
এসব সবজির মধ্যে রয়েছে পাতা কপি, ফুল কপি, মুলা, টমেটো, বেগুন, পালংশাক, লাল শাকসহ বিভিন্ন জাতের মৌসুমী ফসল। এবারে বর্ষার দু’মাস বিশেষ করে আষাঢ়ের শুরুতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল কম। বলা যায় খরার সৃষ্টি হয়েছিল। শ্রাবণে গড়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল সবচেয়ে কম। কিন্ত এরপরে ভাদ্রের শেষ থেকে এবং আশ্বিনের প্রথমে এ অঞ্চলে হালকা বৃষ্টিপাত হয়। আবহাওয়া অফিস সূত্র মতে, বর্ষা মৌসুমের একবারে শুরুতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫৪৮ মিলিমিটার থাকলেও পরে পুরো মৌসুমে বৃষ্টিপাত ছিল ৩৩৯ মিলিমটার। তবে এরপরে এ পরিমাণ বেড়ে যায় এবং পরিমাণ দাঁড়ায় দ্বিগুনেরও বেশি। বর্ষা মৌসুমের পরে অসময়ে অতিবৃষ্টিপাতের ফলে রংপুর কৃষি অঞ্চলের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও নীলফামারী জেলায় বন্যা দেখা দেয়। এতে আগাম শীতকালীন শাক- সবজির বীজ বপন বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কিন্ত কৃষক এজন্য বসে থাকেনি। বাঁশের মাচাং বানিয়ে বীজতলা তৈরি করেছে। এ দৃশ্য এখন চোখে পড়ে নীলফামারী, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও রংপুরের কটি উপজেলা এলাকায়। ওইসব বীজতলার চারা তুলে এখন লাগানো হচ্ছে যেসব জমির পানি শুকিয়ে গেছে সেসব ক্ষেতে।
রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত জায়গায় বাঁশের মাচাং বানিয়ে ফুলকপির বীজতলা তৈরি করেছেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা সদরের আবুল কাশেম। তিনি জানান, তার জমিতে পানি জমে থাকায় ১০ ফুট লম্বা ও ৪ ফুট চওড়া ওই মাচাংয়ে ১ গ্রাম বীজ বপন করেছেন। এভাবে তিনি তিনটি বীজতলা তৈরি করেছেন। ফুলকপির তৈরি ওইসব বীজতলায় একেকটি থেকে ২২ শতক করে জমিতে চারা লাগানো যাবে। তার মতে, এ পদ্ধতিতে বীজতলা থেকে ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে চারা তুলে ক্ষেতে লাগাতে হয় এবং কপি ফলবে ৫৫ দিনের মধ্যে এবং তা ঘরে তোলা যাবে। কিন্ত আগের মতো সাধারণভাবে বীজতলা তৈরি করা হলে তাতে কপি ফলতে সময় লাগবে ৬৫ থেকে ৭০ দিন। মাচাংয়ে বীজতলা তৈরি এ অঞ্চলে একেবারে নতুন। এখনও সেভাবে প্রচার লাভ করেনি। তবে নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার দু-একটি গ্রামে ও জলঢাকা উপজেলায় ব্যাপকভাবে মাচাংয়ে এ পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রংপুর কৃষি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মহসীন আলী জানান, কৃষক এখন অনেক সচেতন হয়েছে। তাদের নিজস্ব উদ্ভাবনী হচ্ছে মাচাং। সেখানে তারা বীজতলা তৈরি করছেন। এ পদ্ধতিতে বীজতলার চারা নষ্ট হয়না। তবে এ নতুন পদ্ধতির কিছু কিছু বীজতলা করেছে রংপুরের বদরগঞ্জ, দিনাজপুরের খানসামা, কুড়িগ্রামের ফুলছড়ি ও লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায়। রংপুর কৃষি অঞ্চলের ৮ জেলা রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ে এখনও শীতকালীন শাক- সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয়ভাবে আসেনি। তবে সংশি¬ষ্ট অফিসের একটি সূত্র জানায়, গত বছর এ অঞ্চলের ৮টি জেলায় শীতকালীন সবজি আবাদ করা হয়েছিল ৪৮ হাজার ৭২৫ হেক্টর জমিতে এবং ফলন হয়েছিল ৮ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৫ মেট্রিক টন।
এবার এর চেয়ে বেশি জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হবে। এসব শাক- সবজির মধ্যে রয়েছে পাতাকপি, ফুলকপি, মুলা, পালংশাক, বরবটি ও টমেটোসহ প্রায় ১৫ প্রকার সবজি জাতীয় ফসল। এসব ফসল লাগানো শুরু হলেও পুরোপুরি লাগানো শুরু হবে আর মাস খানেকের মধ্যে। তবে আগাম জাতের কিছু কিছু এসব ফসল লাগানোর কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং বাজারে উঠতেও শুরু করেছে কোন কোন জায়গায়। তবে এবারের বিলম্বের বৃষ্টিপাত আগাম শাক- সবজি আবাদের কাজ কিছুটা বাধাগ্রস্ত করেছে বলে কৃষি বিভাগ জানায়। কারণ, যেমন পানি থেকে রক্ষা পায়, তেমনি প্রখর রোদ থেকে রক্ষা করতে ঢেকে দেয়া যায়। কৃষি বিভাগের মতে, এভাবে নীলফামারীসহ রংপুর কৃষি অঞ্চলের কৃষক প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা পোকা- মাকড়ের আক্রমনকে মোকাবেলা করে ফসল ফলাচ্ছেন।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!