মাহফুজার রহমান মনু, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলাধীন নাজিমখান ইউপি’র পলাশপুর গ্রামে তিস্তার প্রবল ভাঙ্গনে দু’শতাধিক পরিবারের বসতভিটা, ফসলী জমি, বাগানবাড়ি তিস্তার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ওই পরিবারগুলো সবকিছু হারিয়ে বর্তমানে বাঁধ রাস্তা ও অন্যের জায়গায় মাথা গুজার ঠাঁই নিয়েছে। তারা অতি কষ্টে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিনযাপন করছে। তাদের খোঁজ নিচ্ছেন না কেউ।
জানা যায়, চলতি বছর ওই গ্রামের আধাকিলোমিটার এলাকা তিস্তা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত আব্দুল মতিন (৫০), মাহাম আলী (৪৫), আব্দুল মতিন (৫৭), নুরুজ্জামান (৬৫), আব্দুল খালেক (৬৩) এ প্রতিনিধিকে জানান, হামারগুলার এই গ্রামে এতো ভাঙ্গছে তা কেউ দেখছে না। ভাঙ্গন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কার্যকরি পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত গ্রহণ করেননি। বর্তমানে সবকিছু হারিয়ে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বাঁধ রাস্তা ও অন্যের জায়গায় মাথা গুজার জন্য আশ্রয় নিয়েছি। চেয়ারম্যান-মেম্বাররাও কোন খোঁজ-খবর রাখে না। ভোট এলে সবাই এসে এই এলাকার ভাঙ্গন প্রতিরোধ করার প্রতিশ্র“তি দিলেও ভোটে পাশ হয়ে গেলে কেউ আর খোঁজ-খবর রাখে না। পলাশপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক মনজুরে খুদা আকুল বলেন, ভাঙ্গন প্রতিরোধ কল্পে কুড়িগ্রাম পাউবোসহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোন কার্যকরি পদক্ষেপ এখনও গ্রহণ করা হয়নি। আর অল্প সময়ের মধ্যে পুরোটা গ্রাম তিস্তা গর্ভে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু তাহের বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগে বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ এলে প্রকল্প গ্রহণ পূর্বক ভাঙ্গন প্রতিরোধে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
