মহাদেবপুর (নওগাঁ) সংবাদদাতা : প্রকৃতিতে শীত আসার আগেই আগাম জাতের শাকসবজি চাষ করে ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন নওগাঁর মহাদেবপুরের কৃষকরা। ভাল ফলন ও হাটবাজারে শাকসবজির ভাল দাম থাকায় কৃষকের মুখেও ফুটেছে হাসি। ফুলকপি থেকে শুরু করে শিম, বেগুন, মুলা, লাউ, কুমরো, করলা, ঝিঙে, কাকরোল, বরবটি, পালং শাক, লাল শাক ও মরিচসহ সকল শাকসবজিই এবার বেশী বেশী চাষ করেছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। স্থানীয় কৃষক মোবারক আলী, আইউব হোসেন, রামচরণ, নন্দলাল, শিরাজুল ইসলাম ও ইয়াছিন প্রামাণিক জানান, এখন ধান চাষ করে কঠিন অবস্থার মধ্যে নিপতিত হওয়ার চেয়ে শাকসবজি চাষ করা অনেক ভাল। তারা জানায়, হাড়ভাঙ্গা শ্রম আর অগণিত টাকা খরচ করে জমি থেকে ধান একবারই পাওয়া যায়। ফলানো এ ধান নিয়ে কৃষকের আবার কান্নাকাটির শেষ থাকেনা। কিন্তু একই জমিতে নানা প্রকার শাকসবজি চাষ করে প্রতি সপ্তাহে এক থেকে দু’বার মোটা টাকায় হাটবাজারে বিক্রি করা যায় অনায়াসেই। আবার অনেক পাইকারী ক্রেতা বিভিন্ন শাকসবজি জমি থেকেই ক্রয় করে নিয়ে যান। অনেকে আবার হলুদ, মরিচ, ডাল ও মসলা জাতীয় ফসল চাসের জন্য কৃষকদের আগাম টাকাও দিয়ে থাকেন। এমতাবস্থায় অধিকাংশ কৃষক ঝুঁকে পড়েছেন আগাম জাতের এসব শাকসবজি চাষে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কর্মকর্তা আব্দুল মোমিন ও আমিনুল হায়দার জানান, শীত আসার আগেই কৃষকরা বিপু
ল পরিমাণ জমিতে আগাম জাতের নানান শাকসবজির চাষ করেছেন। এগুলোর ফলন ও বাজার মূল্য কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এখানে এবার ১৩০ হেক্টরে ফুলকপি, ৪০ হেক্টরে পালং শাক, ২৫ হেক্টরে মিষ্টি কুমড়া, ৪০ হেক্টরে লাল শাক, ১৫ হেক্টরে লাউ, ১০০ হেক্টরে মুলা, ২০ হেক্টরে করলা, ৩৭৫ হেক্টরে বেগুন, ১৮ হেক্টরে ডাটা, ২৫ হেক্টরে শিম, ৫ হেক্টরে বরবটি, ১২৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষাবাদ করা হয়েছে।
