ads

সোমবার , ৭ অক্টোবর ২০১৩ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

চুয়াডাঙ্গার কামার পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস চলছে গাছতলায়।

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
অক্টোবর ৭, ২০১৩ ৮:২৫ অপরাহ্ণ

schoolকামরুজ্জামান সেলিম , চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী কামারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষ কম থাকায় গাছতলায় ক্লাশ নিতে হচ্ছে।  স্কুলটিতে লেখাপড়া ও খেলাধুলার মান সন্তোষজনক।

Shamol Bangla Ads

জানাগেছে, দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী পারকৃষ্টপুরÑমদনা ইউনিয়নের কামারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯৫ সালে চাটাই দিয়ে স্কুল ঘরটি নির্মান করে স্কুল চালুকরা হয়। মানবিক ও বাণিজ্য শাখা চালু রয়েছে স্কুলটিতে। ২০০৪ সালে স্কুলটি এম পিও ভৃক্ত হয় তখন থেকে ধীরে ধীরে স্কুলটিতে ছাত্র/ ছাত্রী বাড়তে থাকে। এসময় স্কুলটির ৫ কক্ষ বিশিষ্ট আধাপাকা কাসরুম নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে  ৩৫০ জন ছাত্র/ছাত্রী রয়েছে। গত এস.এস.সি পরীক্ষায় ৩২ জন অংশগ্রহণ করে ৩২ জনই উত্তীর্ণ হয়। আর শিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা ১৩জন। শ্রেণী কক্ষ কম থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরে তাদের কাস করতে হচ্ছে গাছ তলাতেই। যেদিন বৃষ্টি হয় সেদিন আর কাস হয়না, তাদেরকে কাস বাদ দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয় বরান্দায়। স্কুলটির উপর দিয়ে তার গেলেও আজো পর্যন্ত তাদের বিদ্যূত সংযোগ নেই। অথচ স্কুলটিতে কম্পিউটার শিক্ষক থাকলেও বিদ্যূত না থাকায় কম্পিউটার ব্যবহার হয় শিক্ষকের বাড়ীতেই।
স্কুলটির দশম শ্রেনীর ছাত্র শাহীন জানায়, শ্রেণীক না থাকায় রোদ বৃষ্টি উপক্ষা করে আমাদের গাছতলাতেই কাস করতে হচ্ছে। মানবিক ও বাণিজ্য শাখার কাস একসাথে নেওয়া সম্ভব হয়না। যখন মানবিক শাখার কাস হয় বাণিজ্য শাখার ছাত্র-ছাত্রীদের তখন দাড়িয়ে থাকতে হয়। আবার বাণিজ্য শাখার কাস হলে মানবিক শাখার ছাত্র-ছাত্রীদের বাইরে দাড়িয়ে থাকতে হয়।

অভিভাবক আ.আলীম জানান, আমাদের ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেয়ে রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বহু কষ্ট করে গাছ তলাায় কাস করছে।

Shamol Bangla Ads

প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের সমস্যা অনেক, কিন্তু দুঃখের বিষয় অনেকে অনেক রকম আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়িত হয়নি কিছুই। বর্তমানে আমাদের অফিসবাদে শ্রেনীক আছে ৫টি। আমাদের প্রয়োজন ৭টি । মেয়েদের জন্য কোন কমন রুম নাই, আসবাবপত্র নাই,বিদ্যূত নাই। এই স্কুলের গত দুই বছরের এস.এস.সির ফলাফল ছিল শতভাগ পাশ। খেলাধুলার মানও ভালো। আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা খেলা ধুলায় অংশ নিয়ে জাতীয় পর্যায়েও পৌছেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার সাহা জানান, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আমার কাছে ওই স্কুলের প্রধান শিক কোন কিছুই জানাননি, তবে আমি যতটুকু জানি এই স্কুলের কয়েকটি কাসরুমে ফাটল ধরেছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!