এম.এ করিম মিষ্টার, নীলফামারী : নীলফামারী জেলায় শিাকর েেত্র ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে। জেলার ১ জন কর্মচারিসহ ২৩ জন শিক্ষক ভুয়া তথ্য দিয়ে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। শতাধিক শিক্ষক টাইম স্কেল পাওয়ার আগেই ভুয়া প্রতিবেদন ও জাল স্বাক্ষরে টাইম স্কেল ভোগ করে আসছে। এসব কারণে ইতোমধ্যে শিক্ষা অধিদপ্তর ৬ জনের এমপিও বাতিল করেছে এবং ৬০ জনের এমপিও বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতেতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ প্রধান শিক্ষকরা জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে। জেলার ডিমলা উপজেলার ৬ জন শিক্ষক, কিশোরীগঞ্জ উপজেলার ২ জন শিক্ষক ও ১ জন নৈশ প্রহরী, ডোমার উপজেলার ১ জন শিক্ষক, নীলফামারী সদর উপজেলার ২ জন শিক্ষকের এমপিও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে। নীলফামারী জেলার ৬টি উপজেলার জাল কাগজ তৈরি করে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা চরম আতংকে রয়েছে। ডিমলার ৯টি প্রতিষ্ঠানের ১৭ জন শিক্ষক জাল কাগজ তৈরি করায় ফেঁসে যাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ। এসব অনয়ম ও দুর্নীতিতে কতিপয় কর্মকর্তার সহযোগিতা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব ভুয়া কাগজপত্রে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর রয়েছে। সূত্র জানায়, একটি চক্র দীর্ঘদিন জাল কাগজের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত হয়ে বেতন-ভাতাদি গ্রহণ করে আসছে। জাল কাগজের এমপিও বন্ধ করতে না পারলে আগামিতে শিক্ষা বিভাগকে চরম বিপাকে পড়তে হবে বলে সচেতনমহল মন্তব্য করেছেন।
