এম.এ করিম মিষ্টার, নীলফামারী : আসছে কোরবানির ঈদ। তাই ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এক শ্রেণির অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী গরুর মূল্য বেশি পাওয়ার আশায় ইনজেকশন, পাউডার ও নিষিদ্ধ পাম বড়ি সেবন করিয়ে চালাচ্ছেন গরু মোটাতাজাকরণের কাজ। জেলা ও উপজেলায় তিকর স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ পাম বড়ি হিসেবে পরিচিত খাইয়ে গরু মোটাতাজা করণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, অল্প সময়ে গরু মোটাতাজা করতে খাবারের সাথে নিষিদ্ধ স্টেরয়েট ওষুধ খাওয়ায়ে বাজারে বিক্রির জন্য তৈরি করা হচ্ছে। এই জাতীয় ওষুধে গরুর দেহে অধিক মাত্রায় পানি ধারণ মতা বৃদ্ধি পায়। এতে গরুর শরীর ফুলে ফেঁপে উঠে, দুলদুলে ও স্বাস্থ্যবান দেখায়। অপরদিকে গরু দ্রুত মোটাতাজা হয়ে রোগ প্রতিরোধ মতা হারিয়ে ফেলে। ফলে কিডনীর কার্যকরীতা কমে যায়। এ কারণে গরুর হৃদপিন্ড, যকৃৎ মারাত্মক তিগ্রস্ত হয় আবার এ অবস্থায় গরু অন্য কোন অসুখে আক্রান্ত হলে ওষুধের কার্যকরীতা ব্যাহত হয়। প্রাণি ও পশু সম্পদ দপ্তর থেকে গরুকে এগুলো খাওয়াতে নিষেধ করা সত্বেও মুনাফার লোভে তারা এগুলো গরুকে খাওয়াচ্ছেন। গরু ব্যবসায়ীরা জানান, কোরবানির ঈদের দুই আড়াই মাস আগে হাট থেকে কমদামে শীর্ণকায় গরু কিনে কোরবানির ঈদের আগ পর্যন্ত খাবারের সাথে তিকারক পাম বড়ি খাওয়ানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, এই বড়ি ভারত ও পাকিস্তান থেকে অবৈধভাবে আমদানি করে বিভিন্ন ওষুধের দোকানসহ গোখাদ্য বিক্রেতাদের দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে। ওই সময়ের মধ্যে এসব গরু বিক্রি করতে না পারলে গরুর হার্ট এ্যাটাক করে। চিকিৎসকরা জানান, এ ধরণের গরুর মাংস খাওয়া মানবদেহে সরাসরি তিকর স্টেরয়েডের প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে। এ মাংস গ্রহণের ফলে দুর্বল লিভার ও কিডনী রোগির সংকটাপন্ন অবস্থা তৈরি হয়। দীর্ঘদিন ফ্রিজে রেখে এ বিষাক্ত মাংস খেলে সুস্থ্য মানুষকেও অসুস্থ্য করে তুলতে পারে বলে তারা মত দিয়েছেন।
