শ্যামলবাংলা ডেস্ক : আবারো নির্দলীয় সরকারের দাবি আবার জানিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। তিনি আওয়ামী লীগের একক নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য জনগণকে সাথে নিয়ে কেন্দ্রভিত্তিক সংগ্রাম কমিটি গঠন করার জন্য দলীয় নেতা-কমীদের নির্দেশ দেন। ৫ অক্টোবর শনিবার বিকালে সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ১৮ দলের জনসভায় তিনি ওই নির্দেশ দেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন আওয়ামী লীগকে ২০০৭ সালের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, সংবিধান অনুসরণ করে আপনি তখন বিচারপতি কে এম হাসানের অধীনে নির্বাচনে রাজি হলেন না কেন ? আপনি তো আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, আপনার অধীনে নির্বাচন কীভাবে হবে?
একক নির্বাচন হলে রাজপথে দেখা হবে, হুঁশিয়ারি দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, “তাই এখনো বলছি, সংসদে নির্দলীয় সরকারের বিল এনে পাস করুন। যতদিন মেয়াদ আছে, আপনারা থাকুন।
আগামীতে মতায় গেলেও বিএনপি প্রতিহিংসাপরায়ণ না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, আমরা আপনাকে সম্মানের সঙ্গে রাখব। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।

সরকারি কর্মকর্তাদেরও দল নিরপে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “কারো চাকরি খাওয়া হবে না। আপনারা দেশ ও মানুষের কথা চিন্তা করেন। অন্যায়ভাবে জনগণের ওপর গুলি চালাবেন না।”
নির্দলীয় সরকারের আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণার আগে গণসংযোগের অংশ হিসেবে নরসিংদী, রংপুর, রাজশাহীর পর এবার সিলেটে জনসভা করলেন।
সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি এম এ হকের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর , খন্দকার মোশাররফ হোসেন, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, সাদেক হোসেন খোকা, শমসের মবিন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, ওসমান ফারুক, শামসুজ্জামান দুদু, আমানউলাহ আমান, বরকতউলাহ বুলু, মাহবুবউদ্দিন খোকন, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সাখাওয়াত হোসেন জীবন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শাম্মী আখতার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মীর সরফত আলী সপু, নুরী আরা সাফা, শিরিন সুলতানা, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা, ১৮ দলের নেতাদের মধ্যে এলডিপি সভাপতি অলি আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদের সাংসদ আ ন ম শামসুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের আমির আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিশের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইসহাক, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জমিয়তে উলামা ইসলামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শাহীনুর পাশা চৌধুরী, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, মুসলিম লীগের সভাপতি এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান, সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম জালালী পংকী, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হাসান কয়েস, সিনিয়র সহসভাপতি দিলদার হোসেন সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহমেদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, মৌলভীবাজারের সভাপতি এম নাসের রহমান, সুনামগঞ্জের সভাপতি ফজলুল হক আসপিয়া, হবিগঞ্জের সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়সল জনসভায় বক্তব্য দেন।
