মাহফুজার রহমান মনু, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট এর উদ্ভাবিত আগাম জাতের আমন বিনা-৭ ধান কাটতে শুরু করেছে রাজারহাটের কৃষকরা। এলাকায় বহু পরিচিত মঙ্গা পেটানো আগাম জাতের ওই ধান কৃষকের ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দিয়েছে। যেন নবান্নের সাড়া পড়েছে তাদের ঘরে ঘরে।
আষাঢ় মাসের শুরুতেই অপেক্ষাকৃত উচু জমিতে ওই জাতের ধানের চারা লাগানো হয়। ১শ দিন থেকে ১শ ১০ দিনের মধ্যে ওই ধান কাটাা যায়। রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশার তালুক গ্রামের কৃষক বিমল চন্দ্র (৬০) জানান, এবার এ ধানটি কৃষকের ঘরে ঘরে আনন্দ বয়ে এনেছে। তিনি আরও জানান, এ ধান প্রতি বিঘায় ফলেছে প্রায় ১২ থেকে ১৩ মন। রাজারহাটের বাজারগুলোতে কৃষকের চাহিদামত দামও রয়েছে। বর্তমানে কৃষকরা প্রতি মনে পাচ্ছে ৮শ থেকে ৮শ ৫০ টাকা। এছাড়াও গো-খাদ্য হিসাবে খড়ের ব্যাপক চাহিদা থাকায় বিঘা প্রতি খড় বিক্রি করে পাচ্ছেন প্রায় ৩ হাজার টাকা। বিমল চন্দ্র রায়ের মতে, রাজারহাট উপজেলায় হাজারও কৃষক এ ধানের চাষ করে লাভবান হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার ষষ্টী চন্দ্র রায়ের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এ বছরে রাজারহাট উপজেলার প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ২শ হেক্টর জমিতে বিনা-৭ ধান চাষ করেছে কৃষকরা।
