জিয়াউর রহমান জিয়া, রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম) : বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে বর্ডারহাটটি প্রায় এক মাস যাবত বন্ধ রয়েছে। সুনিদির্ষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই একমাত্র বিএসএফ’র একগুয়েমীর কারণে ওই বর্ডার হাটটি বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। এব্যাপারে বিজিবি-বিএসএফের মাঝে হাটটি পুনরায় চালু রাখতে কোন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। হাট ব্যবস্থাপনা কমিটিও জানে না কী কারনে হাট ব্ন্ধ রয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত বর্ডার হাট না হওয়ায় বিশেষ করে বাংলাদেশী ক্রেতা ও বিক্রেতারা পড়েছেন মহাবিপাকে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বালিয়ামারী কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার খন্দকার আলতাফ হোসেন জানান, হাটের দিন সকালে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কালাইরচর বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা নানা অজুহাত দেখিয়ে জানান, আজ হাট বসবে না। তবে এর সুনির্দিষ্ট কোন কারণ উল্লেখ করেনি। বর্ডার হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির পক্ষে রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ খান বলেন, ‘আমিও জানি না, কেন হাট বসছে না। তবে বাংলাদেশের তরফ থেকে কোন সমস্যা নেই। এটা ভারতীয়দের একক সিদ্ধান্ত।’ সাপ্তাহিক হাটের দিন বুধবারও হাট বসবে কিনা তাও জানাতে পারেনি হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির বাংলাদেশী কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অধিবাসিদের মাঝে সৃষ্ট কোন্দল থাকায় তারা হাটে আসার আগ্রহ দেখাচ্ছে না। বাংলাদেশী ক্রেতা রহমত আলী জানান, হাট না বসলে ভারতীয়দের কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা আছে বাংলাদেশী ক্রেতা বিক্রেতাদের। কারণ ভারতের আদা, লেবুর চাহিদা জানিয়ে বাংলাদেশী অনেক ক্রেতা অগ্রিম টাকা দিয়ে রেখেছে ভারতীয়দের কাছে। এখন হাট না বসায় তারা ওই সব পণ্য পাচ্ছে না। আবার টাকাও ফেরত পাচ্ছে না। বাংলাদেশী বিক্রেতা সুরুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘বর্ডার হাট বসবে কি-না তা নির্ভর করে ভারতীয়দের ওপর। আর ওরা চলে তাদের খেয়াল খুশিমতো।’
বর্ডার হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর-ই শাহী ফুল বলেন, ‘কি কারনে হাট বন্ধ এটা আমরা জানি না। হাটটি পুনরায় চালু না হলে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের অপূরনীয় ক্ষতির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি এব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
