মাদকের মরণ ছোবলে উন্মাদ হয়ে ঐশির হাতে প্রান হারাল পুলিশ দম্পতি তারই প্রান প্রিয় মা-বাবা। যে কারনেই হোক না কেন মেয়ের হাতে মা-বাবা খুনের ঘটনা শুধু বাংলাদেশেই নয় গোটা বিশ্বে সম্ভবত এটাই প্রথম সে কথা বোধ হয় বলার অপো রাখে না। মাদকাসক্ত হয়ে ছেলের হাতে বাবা খুন,নেশার টাকা না পেয়ে ছেলের হাতে মা খুন,ভাইয়ের হাতে ভাই খুন কিংবা মাদকের জের ধরে ব্ন্ধুর হাতে বন্ধু খুনের ঘটনা টিভি বা পত্র পত্রিকায় চোখে দৃশ্যমান হলেও মেয়ের হাতে পৃথিবীর সব চেয়ে প্রিয় বস্তু মা ও বাবা খুনের ঘটনা মনে হয় বিরল তাও আবার কিশোরী মেয়ের হাতে। কিছুদিন পুর্বে প্রখ্যাত চলচিত্র শিল্পী এটিএম সামছুজ্জামানের দুই পুত্রের মধ্যে এক পুত্র খুন করে তার সহদর ভাইকে আর সদ্য খুন হয় নিজ কন্যা ঐশীর হাতে তার মা-বাবা স্বপ্না রহমান ও মাহফুজার রহমান। চলচিত্র শিল্পী এটিএম সামসুজ্জামানের পুত্র খুনের ঘটনা মিডিয়া বা প্রশাসন সহ জাতীয় কর্ণধারদের টনক না নড়লেও জাতির বিবেককে দংশন করেছে পিতৃহন্তা ঐশী-মাতৃহন্তা ঐশীর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায়।
কেন এই পৈশাচিক হত্যাকান্ড ? কি কারণে ঐশী হত্যা করেছে তার প্রান প্রিয় মা-বাবাকে, মুল নেপথ্যেই বা ছিল কোন কারণ? যা উদ্ঘাটনে প্রথমেই দৃষ্টি পড়ে নিজ ধর্মকর্ম ও সংস্কৃতিকে উপক্ষা করে ঐশীর পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অগাধ প্রেম,তাসলিমা নাছরিনের মতোই আকাশ চুম্বি যৌন উন্মত্ততা যাকে উস্কে দিয়েছে মা-বাবার অবৈধ উপার্জনের বে-হিসাবী অর্থ প্রদান , ধর্মীয় অনুভুতি থেকে দুরে থাকা এবং ধর্মীয় মুল্যবোধের অবমুল্যায়ন।
সরকার সংসদে,টিভি টকশোতে কিংবা পত্র পত্রিকায় খুন-ধর্ষন,মাদক ব্যবসা ও মাদকাসক্ত সহ সকল প্রকার অপরাধ দমনের যত প্রপাগন্ডাই চালাক না কেন তা যেন সবই গাছের গোড়া কেটে আগাই পানি ঢালারই সামিল । কারণ খুনী,ধর্ষনকারী,মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যত আইনই প্রনয়ন করুক না কেন তার সঠিক প্রয়োগ না থাকায় এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একশ্রেনীর অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজসে আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে অনায়াসে বেড়িয়ে আসে অপরাধীরা । আবারো তার জড়িয়ে পড়ে অপরাধ কর্মকান্ডে। মৃতপ্রায় সিনেমা হলগুলি, ডিস ও মোবাইলে গান ডাউনলোডকারী ব্যবসায়ীরা যৌন উস্কানীমুলক অশ্লীল বা পর্নো ভিডিওচিত্র বিশেষ করে স্কুল গোয়িং ছাত্র/ছাত্রী তথা টিনএজারদের হাতে তুলে দিয়ে তাদের চরিত্রকে কুলষিত করে চলছে আশংকা জনক ভাবে। যার ফলে তারা বিকৃত মানষিকতা নিয়ে মাদকাসক্ত সহ ধর্ষণ,পতিতাবৃত্তি ও হত্যার মত মারাত্বক অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। কারণ মাদকাসক্তি ও যৌন উন্মত্ততা এমন একটি বিষয় যাহা বিশেষ মুহুর্তের জন্য মানুষের ভিতর থেকে লোক-লজ্জা,ভয়ভীতি,মানুষত্ব বোধকে চরম ভাবে বিপর্যস্ত করে ফেলে। যার ফলশ্র“তিতে ঘটে নানা প্রকার খুন ও ধর্ষণের মত জঘন্যতম অপরাধ। সে কারণে খুন,ধর্ষন ও ধর্ষন জনিত কারনে হত্যা কিংবা ইভটিজিংকে প্রতিরোধ করতে শুধু আইন প্রনয়ণই যথেষ্ট নয় ,প্রয়োজন যুবসমাজকে সামাজিক ভাবে ধর্মীয় মুল্যবোধ সৃষ্টি করা তার সাথে যুক্ত হওয়া দরকার উন্মুক্ত বা নগ্ন পোষাকে নারীদের বিচরনের বাধ্য-বাধকতা,এবং সরকারের কড়া দৃষ্টি দিতে হবে ঐ সকল সিনেমা হলগুলির দিকে, নজর দিতে হবে সারা দেশের আনাচে কানাছে ছরিয়ে ছিটিয়ে থাকা মোবাইলে গান ডাউন লোডকারী মোবাইল বা কম্পিউটার সেন্টার গুলির দিকে,বয়সের দিক বিবেচনা করে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা বা আইন প্রনয়ণ করতে হবে মোবাইল ও মোটর সাইকেলের ব্যবহারের উপর। যাতে করে ঐ সকল অপরাধিরা আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে চট করে বেড়িয়ে যেতে না পারে তার জন্য আবিস্কার করা দরকার তাৎনিক বিচার ব্যবস্থার ডিজিটাল পদ্ধতি। অন্যথায় আরো প্রাণ দিতে হবে ঐশীর অনুসারী হাজারো ঐশীর মা-বাবাকে।