কামরুজ্জামান সেলিম, চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার জয়নগর-নিমতলা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ’র যৌথ টহল পরিচালিত হয়েছে। ৪ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত সীমান্তের ৭১ নং মেইন পিলার থেকে ৭৮ নং মেইন পিলার পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ কিলোমিটার জুড়ে ওই টহল চলে।
বিজিবি জানায়, টহলে বাংলাদেশের পক্ষে চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের দর্শনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আব্দুল আওয়ালের নেতৃত্ব ১০ জন এবং ভারতের পক্ষে নদীয়া জেলার চাপড়া থানার ১৭৩ ব্যাটালিয়নের গেদে ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ইন্সপেকটর রমেশ চাঁদের নেতৃত্বে ১২ জন জোয়ান অংশগ্রহণ করেন। ওই সময় ৭৬ নং মেইন পিলারের কাছে দু’দেশের মধ্যে সীমান্তে মানুষ হত্যা, নারী-শিশু পাচার ও মাদকসহ বিভিন্ন চোরাচালান রোধের বিষয়ে আলোচনা হয়।
এদিকে, একই দিন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার মুন্সীপুর ও জীবননগরের ধোপাখালী সীমান্ত এলাকা থেকে ৮২ বোতল ভারতীয় মদ, ৩শ ৬০ বোতল ফেনসিডিল, ৫শ গ্রাম গাঁজা ও ৩ টি ভারতীয় গরু আটক করেছে বিজিবি। আটককৃত ওইসব মালামালের মূল্য প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকা।
বিজিবি জানায়, শুক্রবার ভোর ৪ টায় চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের মুন্সীপুর ক্যাম্পের হাবিলদার জিল্লুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ সীমান্তের ৯৩ নম্বর মেইন পিলারের কাছে টহলে ছিলেন। ভোরে ভারত থেকে ৩ জন চোরাচালানী কিছু মালামাল নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় তাদেরকে ধাওয়া করেন। ওইসময় চোরাচালানীরা ৮২ বোতল মদ ফেলে পালিয়ে যায়। এছাড়া ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধোপাখালী ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার শাফায়াত উল্লাহ সঙ্গীয় ফোর্সসহ সীমান্তবর্তী মাধবখালী মাঠের আখক্ষেতে লুকিয়ে ছিলেন। ওইসময় ৭/৮ জন চোরাচালানীকে দেখে তাদের চ্যালঞ্জ করেন। তোপের মুখে চোরাচালানীরা ৭ টি চটের ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। ব্যাগ তল্লাশি করে ৩শ ৬০ বোতল ফেনসিডিল ও ৫শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেন তারা। এর আগে একই ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার শাফায়াত উল্লাহ অভিযান চালিয়ে মনোহরপুর পাকা রাস্তা থেকে ৩টি ভারতীয় গরু আটক করেন।
