পাবনা প্রতিনিধি : ১০ অক্টোবর ষষ্ঠী পুজায় দেবীদুর্গার বোধন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ৫ দিনব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পুজার মুল আনুষ্ঠানিকতা। ১৪ অক্টোবর বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। শাস্ত্রমতে এবারে দেবী দুর্গা গজে আগমন করবেন এবং দোলায় চরে চলে যাবেন। এদিকে প্রতিমা নির্মানের শেষ মুহুর্তে রাত দিন কাজ করে যাচ্ছে দেউরীরা। মন্দির গুলোতে সার্বিক নিরাপত্তা দিতে দফায় দফায় মিটিং সিটিং করছে পুলিশ প্রশাসনসহ স্থানীয় প্রশাসন। জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি ও বেড়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক সুবল রায় শ্যামলবাংলাকে জানান, ইতিমধ্যে জেলা পুলিশ প্রশাসনের প থেকে জেলার প্রতিটি থানায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। মহা অষ্টমী ও নবমীতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পলী বিদ্যুৎ কর্তৃপ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানা গেছে। বিজয় দশমীর পরেই মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আজহা অনুষ্ঠিত হবে বিধায় নির্দিষ্ট তারিখেই প্রতিমা বিসর্জণ দেয়ার জন্য জেলা পুজা উৎযাপন কমিটির প থেকে প্রতিটি মন্দির কর্তৃপকে অনুরোধ করা হয়েছে। এবারে পাবনা জেলায় ৩ ’শ ১৯ টি প্রতিমা নির্মান করা হয়েছে। এর মধ্যে পাবনা সদরে ৪৯ টি, ঈশ্বরদী ২৫ টি, আটঘড়িয়া ১৫ টি, ভাঙ্গুড়া ১৬ টি, ফরিদপুর ১৪ টি, চাটমোহর ৪৭ টি সাঁথিয়া ৪১ টি, বেড়া ৫৩ টি এবং সুজানগরে ৫৯ টি প্রতিমা নির্মান করা হয়েছে। প্রতিমা নির্মানে সহায়তা করার জন্য সরকারের প থেকে প্রায় ১ ’শ ৬০ মেঃ টঃ চাউল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই বরাদ্দ থেকে প্রতিটি প্রতিমার জন্য ৫ ’শ কেজি চাউল ইতিমধ্যেই প্রদান করা হয়েছে।