হাফিজার রহমান, আদমদীঘি (বগুড়া) : বগুড়ার আমদমদীঘি ও সান্তাহারে অবৈধ অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইভটিজিং, পর্নো ছবি প্রদর্শন, ছিনতাই, বাল্যবিয়ে, মাদক সেবন ও বিক্রির দায়ে ওইসব অভিযোগে জরিমানা ও বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাসেল মনজুর ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে জানুয়ারী থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে ২শ ১০ জনকে ওইসব সাজা প্রদান করেন। ভ্রাম্যমান আদালতের অব্যাহত মনিটরিংয়ে উপজেলায় মাদক সেবন, বিক্রি ও রাস্তায় ছিনতাইয়ের অপরাধসহ সকল অসামাজিক কার্যকলাপ অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে বলে এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ তোজাম্মেল হক জানান. আদমদীঘি, সান্তাহার, ছাতিয়ানগ্রাম, চাঁপাপুর, কুন্দগ্রাম, নশরতপুরসহ এলাকার বিভিন্ন স্থানে রাতে ছিনতাই চুরি ও মাদকের ব্যাপক প্রসার ঘটায় পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৯ মাসে ৩ শতাধিক অপরাধীকে আটক করে। এর মধ্যে কিছু অপরাধীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করার পাশাপাশি ২শ ১০ জনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল ও জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে জানুয়ারীতে মাদক সেবন ও বিক্রির দায়ে ৪ জনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় ফেব্র“য়ারীতে ১৬ জনের কারাদন্ড. মার্চে ১২ জনের কারাদন্ড ও ২ জনের জরিমানা. এপ্রিলে ১৩ জনের কারাদন্ড ও ১ জনের জরিমানা. মে’তে ৩২ জনের কারাদন্ড ও ৫ জনের জরিমানা, জুনে ২৮ জনের কারাদন্ড ১২ জনের জরিমানা. জুলাইয়ে ২৮ জনের জেল জরিমানা, আগষ্টে ৩১ জনকে জেল জরিমানা এবং সেপ্টেম্বরে বাল্যবিয়ের দায়ে ২ জন অভিভাবকসহ ২৭ জনের জেল ও জরিমানা করা হয়। ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত সক্রিয়তার সাথে অভিযান অব্যাহত রাখলে এলাকার সকল অপরাধ ও অসামাজিক কার্যকলাপ সমূলে উৎপাটন করা সম্ভব বলে এলাকাবাসী দাবি করেন।
