এস.এম, আজিজুল হক, পাবনা : পাবনার ঈশ্বরদী দলছুট হনুমানের আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। এরা খাবারের সন্ধানে ছুটে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। খাবারের পরিবর্তে এদের কপালে কখনও কখনও জুটছে ঢিল। ঢিলের আঘাতে ক্ষত হচ্ছে শরীরের বিভিন্ন স্থান। ঘটছে রক্তপাতের ঘটনাও।
প্রতি বছরই পার্শ¦বর্তী দেশ ভারত থেকে কিছু হনুমান দলছুট হয়ে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এ জেলায় গ্রামে গ্রামে খাবারের সন্ধানে ছুটছে প্রতিনিয়ত। এ এলাকায় বড় বন কিংবা জঙ্গল না থাকায় দলছুট হয়ে আসা হনুমানগুলো খাবারের সন্ধানে ছুটে বেড়াচ্ছে গ্রামের এ বাড়ি ও বাড়ি। বিভিন্ন গাছের ফলমূল খেয়ে বেঁচে আছে। হনুমানগুলো বেশি অবস্থান করছে বাড়ি বা দোকানের আশপাশে। এতে করে অনেকেই শখের বশে একটি রুটি অথবা কলা দিলেও পরক্ষনেই আবার ছুঁড়ছে ঢিল। এরপরও ভয়কে উপেক্ষা করে ক্ষুধার তাড়নায় হাত পেতে খাবার নিতে হচ্ছে মানুষের কাছ থেকে। যে সব এলাকায় দলছুট হনুমান দেখা যায় যে যার মতো রুটি কলা ও বিস্কুট দিয়ে এদের ক্ষুধা নিবারণের চেষ্টা করছে। গ্রামের মহিলারাও ভাত, রুটি ও পানি দিচ্ছে। হনুমানগুলো ক্ষুধার জ্বালায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি লাফিয়ে বেড়ায়। লোকজনের দেওয়া খাদ্য ক্ষুধার্ত হনুমানগুলোর ক্ষুধা নিবারণে যথেষ্ট নয়। ওইসব হনুমানগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা সকলের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়লেও গ্রামের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা হনুমানগুলোকে লক্ষ্য করে শখের বশে দু’একটা ঢিল ছুড়লেও বয়স্করা বাচ্চাদের বারণ না করে তারাও যেন শিশুসুলভ আচরণ করছে বন্যপ্রাণী হনুমানগুলির সাথে। এ অবস্থায় ওইসব আগত দলছুট হনুমানগুলো রক্ষায় সমাজের দায়িত্ববান ব্যক্তিদের সাথে বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে সচেতন এলাকাবাসী মনে করছেন।
