স্টাফ রিপোর্টার : মুসলিম ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দু’টি বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা ও শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে শেরপুরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। ২ অক্টোবর বুধবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ ‘রজনীগন্ধা’ মিলনায়তনে ওই প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রস্তুতি সভায় ঈদের প্রধান জামাত পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় পৌর ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায় অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়। ঈদের দিন বৃষ্টি থাকলে ঈদের জামাত কালেক্টরেট মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এবারের ঈদের জামাতে ইমামতি করবেন তেরাবাজার মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মোহতামিম মাও. সিদ্দিক আহমদ। সভায় রোগাক্রান্ত পশু চিহ্নিতকরণ ব্যবস্থা, কোরবানীর পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কোরবানীর হাটে জাল নোট প্রতিরোধে শনাক্তকরন মেশিন বসানোসহ এ বিষয়ে জনসচেতনতামুলক প্রচারণা ও বিশেষ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। এদিকে, জেলার ৫ উপজেলায় এবার ১৪৩ টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে উল্লেখ করা হয়। ওইসব পূজামন্ডপের নিরাপত্তা জোরদার ও আইনশৃ্খংলা রক্ষায় পুলিশ-আনসারের পাশপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দল প্রতিটি পূজা মন্ডপে দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া র্যাব-১২ জামালপুর সার্বক্ষণিকভাবে অন্যান্য বাহিনীর সাথে জেলার সকল পূজামন্ডপে টহল ও মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় ঈদ ও পূজায় মাদক নিয়ন্ত্রণ এবং শহরের যান ও জনজট নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই প্রস্তুতি সভায় পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হায়দার আলী, পৌর প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তেরাবাজার জামিয়া সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাও. সিদ্দিক আহমেদ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দেবাশীষ ভট্টাচার্য, নারীনেত্রী শামছুন্নাহার কামালসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সভায় বিভিন্ন উপজেলার ইউএনও, সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় নের্তৃবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুধীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
