শ্যামলবাংলা ডেস্ক : বিএনপি’র চেয়ারপারসন ও বিরোধী দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশে এখন লুটপাটের রাজত্ব চলছে। খুন, গুম, দুর্নীতি দিয়ে ছেয়ে গেছে দেশ। দেশকে এই অপশক্তির হাত থেকে বাঁচাতে হাসিনা হটাও, আওয়ামী লীগ হটাও, দেশ বাচাঁও বলে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।

তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে খুলনার ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ ময়দানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে ১৮ দল আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে ওই আহবান জানান।
আন্দোলনের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আগে আন্দোলন করে হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার বিদায় করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সময় হলে আমরা নির্বাচনী প্রস্তুতির কথা বলবো।
তেল গ্যাস রা কমিটি আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরাও বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাই। কিন্তু এমন জায়গায় চাই যেখানে কারও কোন তি হবে না। রামপাল কুইক রেন্টালে বিদ্যুত পায় না মানুষ। ওরা কুইক মানি পায়। রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোনভাবেই হতে দেয়া যাবে না। কারণ এতে সুন্দরবন ধ্বংস হবে। আমাদের ঐতিহ্য বিনষ্ট হবে।
তিনি বলেন, খুলনা ছিল শিল্প নগরী, তারা এটি ধংস করেছে। খুলনার রুপসা সেতু আমরা করেছি, সেদিনও তারা বাধা দিয়ে হরতাল ডেকেছিল। এই এলাকার পাট শিল্পকে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা মতায় এলে আবারও খুলনাকে শিল্প নগরী করব, ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবো।

বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে বেগম জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ ২ বার মতায় ২ বারই তারা শেয়ার বাজারে ব্যাপক দুর্নীতি করেছে। ল ল মানুষকে পথে বসিয়েছে। সোনালী বাংকসহ সরকারী ৫ টি ব্যংক দেউলিয়া হয়েছে। এ সরকারকে বিশ্বাস করা যায় না। এ সরকার ভেলকিবাজির সরকার ১০ টাকায় চাল খাওয়ানোর কথা বলে মতায় এসেছে। এরা যতদিন মতায় থাকবে ততদিনই দেশের তি হবে। এ আমলে কেউই নিরাপদ না। সরকার চায় রক্ত আর রক্ত। হেফাজত এর হাতে অস্ত্র ছিল না। তারা এসেছিল কোরআন শরিফ, জায়নামাজ, তজবীহ নিয়ে। কোরআন শরিফ পুড়িয়েছে আওয়ামী লীগ।
সুষ্ঠু ও নিরপে সংবাদ পরিবেশনের আহবান জানিয়ে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, পাপ কখনও চাপা থাকে না, আওয়ামী লীগ মানুষ কে সম্মান দিতে জানে না। ড. ইউনূসের মত একজন সম্মানী ব্যক্তি যাকে সারা বিশ্ব পুরষ্কৃত করেছে তার বিরুদ্ধে সরকারের লোকজন অসম্মানজনক বক্তব্য রাখছে। সাজাচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে বিভিন্ন নাটক। আমি সরকারকে বলবো যে সম্মান করতে জানে না। তাকে কেউ সম্মান করে না।
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের এখন একটাই পরিকল্পনা কিভাবে মতায় আসা যায়। এই তত্ত্ববধায়ক তাদেরই সৃষ্টি। আজকে তারই তত্ত্বাবধায়কের বিরোধীতা করছে। কারণ তারা জানে দেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের এমন ভরাডুবি হবে লজ্জায় তারা কাউকে মুখ দেখাতে পারবে না।
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ মানে খুন, আওয়ামী লীগ মানে যুবক নিযার্তন, আওয়ামী লীগ মানে নারী ধর্ষণ, আওয়ামী লীগ মানে দুর্ভি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সময়ই যশোরে উদীচী শিল্প গোষ্ঠীর উপর হামলা হয়েছে এই জঙ্গীবাদ, সন্তাস, দুর্নীতি, খুন, গুম, হত্যা, ধর্ষণ সবই আওয়ামী লীগের রাজনীতি।
সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, ড. ওসমান ফারুক, সেলিমা রহমানসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
